সকল মেনু

রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ফিলিপাইন

b-bank-rijarb-many_48700হটনিউজ২৪বিডি.কম : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ফিলিপাইন। দেশটির অর্থসচিব কার্লোস ডমিঙ্গুয়েজের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়,বাংলাদেশের অর্থ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দিতে সম্ভব সবকিছু করছে ফিলিপাইন।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জোর দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সাইবার অপরাধীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১ বিলিয়ন চুরির চেষ্টা করে। ৮১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেয়ার পরে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে চারটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেগুলো তুলে নেয়া হয়।

ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক থেকে তোলা অর্থ ক্যাসিনোর মাধ্যমে লন্ডারিং করা হয়েছে। ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্যাসিনো অপারেটরের মাধ্যমে উদ্ধার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরো ২.৭ মিলিয়ন ডলার আটকানো হয়েছে। এদিকে ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করেননি।

প্রতিনিধি দলের প্রতি দেয়া ডমিঙ্গুয়েজের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আপনাদের স্বার্থে যতটা সক্রিয়তার সঙ্গে সম্ভব মামলা পরিচালনা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, যে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিতে না চাওয়ার লক্ষ্য থেকেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হয় এই তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইন সরকারকে দেয়া হবে কী না। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কিছু চাওয়া হয়নি। তবে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নেস্তর এস্পেনিলা বলেন, বাংলাদেশ সরকার থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে তদন্তের প্রাথমিক তথ্য জানানো হবে কারণ পুরো তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।

বাংলাদেশ থেকে দাবি করা হয়েছে, রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনকে এই অর্থের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে রিজাল ব্যাংক এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ রিজাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই চুরির সঙ্গে সংযোগ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ‍পুলিশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই, ইন্টারপোল ও ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষের তদন্ত স্বত্তেও এখন পর্যন্ত কেউ রিজার্ভ চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top