সকল মেনু

নারায়ণগঞ্জে মেয়র প্রার্থী নিয়ে বিএনপিতে ধোঁয়াশা

63a323cd13f5fbd03c946861aa6a81c3-5750dcafb0238হটনিউজ২৪বিডি.কম : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেবে, বৃহস্পতিবার দল থেকে এই ঘোষণার পরদিন শুক্রবার চেয়ারপারসন শীর্ষ নেতাদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও, শনিবার রাতে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে প্রার্থিতা ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেননি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মোবাইল ফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘শনিবার রাতেও আমরা সিনিয়র নেতারা বসেছিলাম। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করি, রবিবার (২০ নভেম্বর) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

রবিবারই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এই নেতা।
এর আগে শুক্রবার রাতে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে আওয়ামী লীগ ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা জানান, শনিবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক কমিটির একাধিক নেতা বৈঠকে বসেন। সেখানে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা। আজ (রবিবার) এ ব্যাপারে শীর্ষ নেতারা আবারও বসবেন এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন জানা গেছে।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, শনিবার রাতে আলোচনায় বসা নেতারা বিএনপি আদৌএই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ বলেন, যেহেতু শুক্রবার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন, সেহেতু এ কমিশনের অধীনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটাই উচিত।

তবে সভায় কেউ কেউ আবার তৈমূরকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান করেন।

এর আগে শনিবার দুপুরে তৈমূর গণমাধ্যমকে জানান, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আমার কোনও আস্থা নেই। অনেক মিডিয়াও বিএনপির পক্ষে কথা বলবে না। এসব কারণে নির্বাচনে আমার অনাগ্রহ।’

তিনি বলেন, তবে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা দলে দলে আমার বাসায় এসে আমাকে নির্বাচনের জন্য অনুরোধ করছেন। নেতাকর্মীদের এত ফোন আসছে যে, আমি মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছি। সবাইকে জানিয়েছি, নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত। আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক না। কারণ, বিগত নির্বাচনে আমাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। আবার নির্বাচনের ঠিক ৭ ঘন্টা আগে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কি কারণে আমাকে বসানো হয়েছে, আমি এখনও সেই প্রশ্নের উত্তর পাইনি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top