সকল মেনু

জলবায়ু সম্মেলন: স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

sheikh-hasina-at-cop22_45186হটনিউজ২৪বিডি.কম : মরক্কোর মারাকাশ জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বল্পোন্নত বিভিন্ন দেশের সমঝোতাকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দিচ্ছেন। ২০২০ সালে প্যারিস চুক্তি কার্যকর ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিল্পোন্নত দেশগুলোও প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ৮৩ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ইতোমধ্যে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। গতকাল প্ল্যানারি অধিবেশন উদ্বোধন করেন মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকালে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দিতে শুরু করেন।

বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নেতৃত্বের আসনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ লাভবান হবে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরছি। এটি একটি বৈশ্বিক সমঝোতা। এখানে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। মরক্কো সমঝোতার পথে এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।

এদিকে এবারের সম্মেলনে প্যারিস চুক্তির রূপরেখা বাস্তবায়ন, সবুজ জলবায়ু তহবিলে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সমঝোতায় পৌঁছাতে শেখ হাসিনার বিশেষ ভূমিকা আশা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ হাসান ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনসহ প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে সমঝোতায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে স্বল্পোন্নত ও শিল্পোন্নত কয়েকটি দেশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করে জি-৭৭ চায়না, দ্বীপরাষ্ট্রগুলো ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোটগুলো এক হয়ে সবুজ তহবিলে দ্রুত অর্থ দাবি করেছে।

এর আগে ২০০৯ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখার প্রস্তাব দেন, যা প্যারিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই জলবায়ু তহবিল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তারা জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারে- এমন গুজবও চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে পরিবেশবাদীরা বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র জিসিএফ তহবিলে তিন বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা কোনো অর্থ দেবে না। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রাজিল, ভারত, জাপান ও তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই বৈশ্বিক আইনি বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। কারণ বিশ্বের বড় কার্বন নির্গমনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top