সকল মেনু

মোদির আমলে সুদিন নয়, মানুষের দুর্দিন এসেছে: মায়াবতী

mayaboti_44938আন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিএসপি প্রধান মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আচ্ছে দিন (সুদিন) আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে মানুষের দুর্দিন এসে গেছে।’ গতকাল সোমবার লক্ষনৌতে এক সংবাদ সম্মেলনে মায়াবতী ওই মন্তব্য করেন।

মায়াবতী বলেন, ‘নোট (৫০০ ও ১০০০ টাকার রুপি) বাতিলের কারণে (বাতিল নোট ব্যাংকে জমা দিতে দীর্ঘ লাইন) দেশের মানুষ খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকবে একথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ব্যাংকে পয়সা নেই, এটিএম বন্ধ। দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম দাঁড়িয়ে পড়েছে। আচ্ছে দিনের (সুদিনের) অপেক্ষায় থাকা জনতা এখন খারাপ দিনের মুখোমুখি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ ধনীরা নয়, বরং গরিব মানুষেরাই ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে ধনী লোকেরা ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু এর ঠিক উল্টোটাই হচ্ছে। গরিবরাই ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে, কারণ তাদের খাবারের কোনো পয়সা নেই। ধনীরা তো আজও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাচ্ছে।’

মায়াবতী বলেন, ‘মহাদুর্নীতিগ্রস্ত ললিত মোদি এবং বিজয় মালিয়াকে বিজেপি দেশ থেকে পালাতে দিয়েছে। মোদি বলেছিলেন, একশ’ দিনের মধ্যে বিদেশে জমা থাকা কালো টাকা নিয়ে আসবেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হয়নি।’

গতকাল সোমবার উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে বিজেপি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে ‘ফ্লপ’ বলে অভিহিত করে মায়াবতী বলেন, ‘বিজেপি ১০ লাখ লোক আসার কথা বলেছিল কিন্তু বাস্তবে মাত্র ২৫/৩০ হাজার লোক এসেছিল। এদের মধ্যে আবার বেশিরভাগ লোককে প্রতিবেশী বিহার রাজ্য থেকে আনা হয়েছিল।’

বিজেপি’র বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করে বলেন, লোকজনকে ২৫০ টাকা করে দিয়ে ওই সমাবেশে জড়ো করা হয়েছিল। এমনকি বিনা ভাড়ায় রেলে করে লোকদের আনা হয়েছিল বলে মায়াবতী অভিযোগ করেছেন।

মায়াবতী বলেন, একদিকে মোদি বলছেন, আমি দুর্নীতির বিরোধী কিন্তু দেখা যাচ্ছে রেলকে রাজনীতিকরণ করে বিনা ভাড়ায় লোকেদের সমাবেশে আনা হয়েছিল।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে এক সমাবেশে বলেন, ‘গরিব মানুষরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে, কালো টাকাওয়ালাদের ঘুম নেই, তারা ঘুমের জন্য ওষুধ খুঁজে বেড়াচ্ছে।’

মায়াবতীর পাল্টা জবাবে বিজেপি মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, ‘মায়াবতী বিএসপিকে দোকানে পরিণত করেছেন, যেখানে টাকার বিনিময়ে টিকিট (নির্বাচন প্রার্থী পদ) দেয়া হয়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top