সকল মেনু

পুলিশ-শিবির সংঘর্ষে আহত ৫ আটক ৬

download (2)কামাল হোসেন মাসুদ,নোয়াখালী:নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবির কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে এবং শিবির কর্মীরা ব্যাংক, দোকান ও যানবাহন ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৩৫-৪০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৫টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ৬ শিবিরের কর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে গ্রেফতারকৃতদের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের ভোটদানের অধিকার বাতিল করার সিন্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজের পর ২৫-৩০ শিবির কর্মী জেলা জামে মসজিদের সামনে থেকে শহরে মিছিল বের করে। মিছিলে শিবির কর্মিরা প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে স্লোগান দিতে দিতে জিলা স্কুল পর্যন্ত গেলে মসজিদ মোড়ে অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শিবির কর্মিরা মিছিল বন্ধ করে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে এবং পুলিশকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ সময় পুলিশ ও শিবির কর্মিদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিবির কর্মিরা শহরের এনসিসি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক, দোকান ভাংচুর করে এবং একটি পিকআপ, ২টি মাইক্রোবাস, ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ৫টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করে। শিবির কর্মিদের বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়ার কারণে সুধারাম থানার টিএসআই জহির, ১জন পুলিশ কন্সটেবলসহ ৫জন পথচারি আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ শিবির কর্মিকে গ্রেফতার করেছে। এ দিকে দোকানপাট ও ব্যাংকে হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।এ বিষয়ে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিস্কৃতি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হটনিউজকে জানান, পুলিশ কত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও বলা যাবে না। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আনুমানিক ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলি ও ৫টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান শিবিরের মিছিলে পুলিশ প্রথমে গুলি ছুড়েছে এমন প্রশ্ন করলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির জাহিদুল হক রনি বলেন, অপ্রতুল পুলিশ কখনও এমন ঘটনা করতে পারে না। মূলত শিবির কর্মিরা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি বর্ষণ করেছে এবং ৬ শিবির কর্মিকে আটক করেছে। এ ছাড়া শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে জেলা ছাত্র শিবিরে সভাপতি নেয়ামত উল্যা সাকেরের সেলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁর সেলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top