হটনিউজ ডেস্ক : রাজধানীর চারপাশে ৪ নদীর তীরে অবৈধভাবে স্থাপিত ১৩টি স্থাপনাকে চিহ্নিত করেছে উচ্চ পর্যায়ের একটি টাস্ক ফোর্স। নদীর তীর ভরাট করে স্থাপিত এসব স্থাপনা ‘অবিলম্বে’ ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রবিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান একথা জানান। নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধার নিয়ে নৌমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্ক ফোর্সের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৪ নদীর তীরে অবৈধভাবে স্থাপিত অনেক স্থাপনা আমরা চিহ্নিত করেছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো আমরা ভেঙ্গে ফেলবো। তবে ১৩টি অবৈধ স্থাপনা অবিলম্বে ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নদী দখলের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সব নদীকে পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।
রাজধানীর চারপাশের নদী ৪টি হলো- বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১০ সালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠিত হয়। আজ ছিল টাস্কফোর্সের ৩৩তম বৈঠক, টাস্কফোর্স এ পর্যন্ত চার নদীর অনেক অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক পুনঃজরিপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই চার নদীর সীমানা পিলারের ১২০ ফুটের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বলবতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সরকার এ বিষয়ে (নিষেধাজ্ঞা) শিগগিরই একটি গেজেট নোটিফিকেশন ইস্যু করবে। তিনি বলেন, নদীর সীমানান পিলার নিয়ে কিছু বিরোধ রয়েছে। এগুলো মীমাংসার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নদীর মূল সীমানা পিলারের ডিজাইন সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হবে।
সরকারি কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন জেলা প্রশাসকদের অফিসে সীমানা পিলার নিয়ে ৪৫৮টি অভিযোগ রয়েছে। বৈঠকে স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি নাগরিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা নদী ভারাটের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করবে। বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সানজিদা খানম এমপি ও বিআইডব্লিউটিএ’র সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।