সকল মেনু

এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি সাঁওতালরা, দোষীদের বিচার দাবি

0c6b350279ad442509fa3129911cbb46-58260c9e20561হটনিউজ২৪বিডি.কম : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে উচ্ছেদ ঘটনার পর সাঁওতাল পল্লির বাসিন্দারা এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে শনিবারও স্কুলে যায়নি সাঁওতাল পল্লি শিশুরা। মামলা আর গ্রেফতারের ভয়ে সাঁওতালরাও কাজ করতে যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পরও কাজ হয়নি।

শনিবার জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার মাদারপুর সাঁওতাল পল্লির গির্জা মাঠে আধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরপর ওই গ্রামে আসেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ।

এসময় সাঁওতাল পল্লির বাসিন্দারা জানান, তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। গ্রেফতারের ভয়ে তাদের অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা খাদ্য সংকটেও পড়েছে। খামার এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে তারা ভয় পাচ্ছেন।

তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ইক্ষু খামারের জমি থেকে উচ্ছেদকালে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পুলিশের গুলিবর্ষণ ঘটনার বিচারের দাবি করেন। এছাড়া এসব ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও ঘরহারাদের পুনর্বাসনের দাবি জানান।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ ও জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ সাঁওতাল পরিবারদের পূনর্বাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও ত্রাণসহ সব ধরনের সহযোগিতার প্রদানের আশ্বাস দেন।

সাহেবগঞ্জ ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাকি বলেন, ‘সবাই মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সাঁওতাল পল্লি বাচ্চারা শনিবারও স্কুলে আসে নাই। রবিবারের (৬ নভেম্বর) উচ্ছেদ ঘটনার পর থেকে ভয় ও আতঙ্ক না কাটায় তারা স্কুলে আসছে না।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে উচ্ছেদ ঘটনার পর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার সংলগ্ন মাদারপুর ও জয়পুরের সাঁওতাল পল্লিবাসীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে। নিয়মিত কাজে ফিরতে পারছেন না সাঁওতালরা। হাট-বাজারেও যাচ্ছেন না। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এখনও একটি পক্ষ থেকে তাদেরকে কারও কাছে মুখ না খোলার জন্য এবং কোনও ধরনের আন্দোলন না করতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে দুই সাঁওতাল নিহতের ঘটনায় এখনও কোনও মামলা এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে আখ কাটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কল্যাণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এপর্যন্ত পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top