সকল মেনু

পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন না মে

ac6aaa395bafa33d7e512a6d72f866d7-581c1fd282692আন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : ব্রেক্সিট কার্যক্রম নিয়ে ব্রিটেনের আদালতের দেওয়া এক রায়ে থমকে গেছে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। নির্বাহী ক্ষমতাবলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে ব্রেক্সিট কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট। এমনকি লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে পারবেন না দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে টেরিসা মে-কে অবশ্যই হাউজ অব কমন্সের অনুমোদন নিতে হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করলেই কেবল পুনরায় ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার অধিকার পাবেন টেরিসা মে।

এর আগে নির্বাহী ক্ষমতাবলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে কিনা, এ বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে গিনা মিলার ও ডিয়ে ডোর স্যান্তোর্স নামে দুই ব্যবসায়ী হাইকোর্টে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর গিনা মিলার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আজকের এই ফলাফল আমাদের সকলের জন্য, হাইকোর্টের এই যুগান্তকারী রায় শুধুমাত্র আমার এবং আমার সহকর্মীদের নয়, এই রায় বর্তমান ও ভবিষ্যত ব্রিটেনের । এটি এমন নয় যে, কিভাবে একজন নাগরিক তার ভোট দিয়েছেন, আমরা প্রত্যেকেই দেশের ভালো ও ভবিষ্যতের ভালোর জন্যই ভোট দিয়েছি। এই মামলাটি কোন রাজনৈতিক নয় বরং এখানে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটিকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’

তবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে ব্রিটেন জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ইন্টারন্যশনাল ট্রেড সেক্রেটারি লিয়াম ফক্স এমপি বলেছেন, ‘সরকার আদালতের এই রায়ে অসন্তুষ্ট, দেশের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে ভোট দিয়েছে। যেখানে গণভোট পার্লামেন্টের অনুমোদন ক্রমেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে বদ্ধপরিকর।’

বিজনেস সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ বলেছেন, ‘আদালতের এই রায় ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আদালতের এই রায় যদি সুপ্রিম কোর্টেও বহাল থাকে, তবে সামনের দিনগুলোতে তা টেরিসা মে-র নেতৃত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। পার্লামেন্ট সদস্যরা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে সমর্থন না দিলে টেরিসা মে-কে আগাম নির্বাচন দিতে হতে পারে, যদিও টেরিসা মে ২০২০ সালের আগে কোনও নির্বাচন হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top