সকল মেনু

চিরিরবন্দরে বেড়েই চলছে ধুমপায়ীর সংখ্যা

unnamedমোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: প্রকাশ্যে ধুমপান করলে জরিমানা করার আইন থাকলেও প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন দিনাজপুর চিরিরবন্দরে বাড়ছে ধুমপায়ীর সংখ্যা। ধুমপানের প্রবনতা বৃদ্ধির কারনে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি ঘটছে সামাজিক অবক্ষয়ও। এছাড়া চিরিরবন্দরে মাদক সেবীদের সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে ধুমপানকেই দায়ী করছেন সচেতন লোকজন।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন হোটেল, যাত্রীবাহি বাস, অটোরিস্কা, ভটভটি ,ভ্যান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি উপজেলা হাসপাতাল সহ জনবহুল স্থানে হরহামেশাই চলছে ধুমপান। ধুমপায়ীদের মধ্যে শিক্ষার্থী, সাধারণ লোকজন, সমাজের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নানা শ্রেণী পেশার লোকদের দেখা যায়। এতে শুধু ধুমপায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না বিরক্তিসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন অন্যরা। প্রকাশ্যে ধুমপানের চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি বে-আইনি একটি কাজ।

সচেতন লোকজন বলছেন, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যা সবার জানা। এছাড়া এই ধুমপানের কারনে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে এবং বাড়ছে মাদক সেবির সংখ্যা। কারন বেশিরভাগ মাদকে ধুমপানের ব্যবহার রয়েছে তাই ধুমপানই হচ্ছে মাদক সেবনের প্রাথমিক ধাপ। প্রশাসনের কাছে তাদের প্রশ্ন আইন থাকলেও কেন এই বেআইনি কাজটি থামছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদক সেবি এক যুবক জানান, ক্লাস নাইন থেকে বাবার ফেলে দেয়া সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে ধুমপানের অভ্যাস শুরু। পরে ধুমপায়ী বন্ধুদের সাথে থেকে পেশাদার ধুমপায়ী হয়ে যাই। ধুমপান থেকে গাঁজা এবং বর্তমানে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতে হয় তাকে।

চিরিরবন্দরের সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্র জুয়েল জানান, বাসে , অটোরিস্কা বা ভ্যানে যাতায়তের সময় অনেক লোকজন ধুমপান করে। এমনকি ভ্যান সহ সব চালকদেরও দেখা যায় ধুমপান করতে। ফলে বদ্ধ যানবাহনে খুব বেশি অস্বস্তি লাগে। যা খুবই বিরক্তিকর। ।

এসব লোকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হলে এই অপরাধ কমতে পারে। তবে অনেক সময় সম্মানী ব্যক্তিদেরও এই কাজ করতে দেখা যায়। তাদেরও সচেতন হওয়া দরকার সমাজকে ধুমপান মুক্ত করতে। মাদকবিরোধী ও মানবসেবা  এক সংগঠনের সভাপতি জানান, সিগারেট কোম্পানিগুলোর কূ কৌশলের কারনে ধুমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন যাতে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাই সচেতন মহল ভ্রাম্যমান আদালত বা সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা চেয়েছেন ধুমপান মুক্ত উপজেলা নির্মানে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top