সকল মেনু

গত বছর রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা এসেছে

bideshy20130724034632হটনিউজ২৪বিডি.কম,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক,ঢাকা: পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করলেও গত অর্থবছর (২০১২-১৩) রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ ছাড় করেছে দাতা সংস্থাগুলো। প্রাথমিক হিসাবে, উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে এ সময়ে ২৭৮ কোটি ৬১ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে। এর মধ্যে ঋণ ২১৩ কোটি ৫০ লাখ ও অনুদান ৬৫ কোটি ডলার।
এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১০ কোটি ডলার বেশি। তবে চূড়ান্ত হিসাবে এর পরিমাণ আরো বেশি হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে।
ইআরডি সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, পদ্মা সেতুর ঋণ প্রত্যাহারের প্রভাব বৈদেশিক অর্থ সাহায্যের ওপর পড়েনি। প্রকল্পে স্বচ্ছভাবে অর্থ ব্যয়ের কারণে উন্নয়ন সহযোগীরা আস্থা পেয়েছে। এতে তারা সর্বোচ্চ অর্থ ছাড় করেছে। ইআরডির তথ্যে জানা গেছে, এ সময়ে দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।
কিন্তু প্রথমবারের মতো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১০ কোটি ডলার বেশি অর্থ পেল সরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
বৈদেশিক অর্থছাড়ে এর প্রভাব পড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা আরো দক্ষ হলে বৈদেশিক অর্থছাড় অনেক বেশি হতো। উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থবছরের শুরু থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে। সেটি সম্ভব হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
অবশ্য বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যুক্তরাজ্যের দাতা সংস্থা ডিএফআইডি ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অনুদানের তথ্য ইআরডির কাছে আসেনি।
এসব দাতা সংস্থার অর্থ হিসাবে আনলে মোট বৈদেশিক অর্থছাড় বেড়ে প্রায় ২৯০ কোটি ডলার হতে পারে বলে জানিয়েছে ইআরডি। এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার অর্থ ছাড় করে দাতারা। এর মধ্যে ঋণ ১৫৪ কোটি ও অনুদান ৫৯ কোটি ডলার।
গত অর্থবছর সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি ডলার ঋণের অর্থছাড় করে এরা।
অন্যান্য দাতা সংস্থার মধ্যে এডিবি ৬৭ কোটি, জাইকা ৩৬ কোটি, ইফাদ ১ কোটি ২০ লাখ, জাতিসংঘ ২০ কোটি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৭ কোটি ডলার অর্থছাড় করেছে।
রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ পেলেও গত অর্থবছরে পুরনো ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে প্রায় ১১২ কোটি ডলার। এর মধ্যে আসল হিসেবে ৯২ কোটি ও সুদ ২০ কোটি ডলার। এর আগের ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার অর্থ পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মূল ঋণ ৭৭ কোটি ও সুদ ১৯ কোটি ডলার।
সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে বড় অঙ্কের অর্থছাড়ের প্রতিশ্রুতিও পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ঋণ ৫৩৪ কোটি ও অনুদান ৫৮ কোটি ডলার; যা ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি ছিল ৪৭৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৩৩২ কোটি ও অনুদান ১৪৪ কোটি ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top