সকল মেনু

মার্সেল ফ্রিজে ১২ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি

unnamedনিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল এবার রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়ালো। মার্সেল গ্রাহকরা এখন ১২ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি পাচ্ছেন। চলতি অক্টোবর থেকে এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে। আগে মার্সেল ফ্রিজে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ ছিল ৬ মাস। বিশেষ করে ফ্রিজের মান উন্নয়ন এবং গ্রাহক সুবিধা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মার্সেল।
রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বৃদ্ধি উপলক্ষে আজ বুধবার এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে মার্সেল কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বক ইভা রিজওয়ানা, এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজীব (উত্তর) ও শামীম আল মামুন (দক্ষিন), সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়নের ফলেই ফ্রিজে ১২ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা দেয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারন হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নিজস্ব কারখানাতেই উচ্চ মানসম্পন্ন ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করছে তারা। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালও নিজেরাই তৈরি করছে। গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলী কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে পণ্য মান উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্সেল। উৎপাদন পর্যায়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। উচ্চমান নিশ্চিত হওয়ার পর প্রযুক্তিগত সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং গ্রাহকদের আস্থার প্রতিদান দিতে রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা আরো বাড়ালো মার্সেল।

unnamed

আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, মার্সেল ফ্রিজের মান নিয়ে আমরা এতোটাই সন্তুষ্ট যে, দুই বা ৫ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিও দেয়া সম্ভব। তিনি বলেন, রিপ্লেসমেন্ট মেয়াদ বাড়ানোর ফলে আমরা শংকিত নই বরং আনন্দের সঙ্গেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি।
উল্লেখ্য, ক্রেতাদের মার্সেল রেফ্রিজারেটরে কম্প্রেসারে দীর্ঘ ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস পয়েন্টে থেকে ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত নাসদাত টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি ফ্রিজ পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়ছে মার্সেল। ব্যবহারবিধি মেনে চললে বছরের পর বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে মার্সেল ফ্রিজ।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, মার্সেল কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজকের এই ঘোষণা।

unnamed
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, ক্রেতাদের জন্য এটি একটি উপহার। মার্সেল বরাবরই ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পণ্য ও সেবা দিয়ে আসছে। মার্সেল ফ্রিজের উচ্চ গুণগতমানের নিশ্চিয়তা দিতেই রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ মাস করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমদানি করা ফ্রিজে এই সুবিধা কেউ দিতে পারছে না। মার্সেল ফ্রিজ দেশেই তৈরি হচ্ছে বলে এটা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি মডেলের ফ্রিজ রয়েছে মার্সেলের প্রেডাক্ট লাইনে। এর মধ্যে আছে ফ্রস্ট ও নন ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ডিপ ফ্রিজ। ক্রেতারা বাজারে পাচ্ছেন মার্সেল ব্র্যান্ডের এলইডি টিভি, এয়ারকন্ডিশনারসহ বিভিন্ন হোম, কিচেন ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। গ্রাহকরা জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের কিস্তি সুবিধায় কিনতে পারছেন মার্সেল পণ্য। এছাড়াও পাচ্ছেন সহজ শর্তে দীর্ঘ ৩৬ মাস পর্যন্ত কিস্তি সুবিধা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top