সকল মেনু

বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পের চলমান কাজে রমরমা খাম্বা বাণিজ্য

jhalakathi-mapআজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ২১ শহর বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পের আওতায় চলমান লাইন সংস্কার কাজে প্রকল্পের কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও স্থানীয় দালালদের বিরুদ্ধে রমরমা খাম্বা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নলছিটি পৌরসভার নাঙ্গুলী, সারদল, মালিপুর এবং দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি, ভরতকাঠিসহ বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারের নামে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। জানা গেছে, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন, কাচা গাছের ক্ষতি, স্টিলের ঝুকিপূর্ণ পোষ্ট দুই স্পান এলটি লাইন পরিবর্তন করে মানসম্মত করার জন্য এসটি লাইন স্থাপন করার নিমিত্তে ২১ শহর প্রকল্প বরিশাল এর দরপত্র আহ্বান করে। জণৈক ঠিকাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন নামের এ কাজের দায়িত্ব পান। তিনি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন সংস্কার কমিটির সাথে যোগসাজসে একই এলাকার ৯ মিটার এসপিসি পুলের ১৪ স্পান ০.২৩ কেভি লাইন ও ১২ মিটার এসপিসি পুলের ২৪ স্পান ০.৪ কেভি নতুন লাইন বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাঙ্গুলী গ্রামের ফেরদৌস তালুকদার। লিখিত বক্তব্য তাঁরা অভিযোগ করেন, নলছিটির নাঙ্গুলী, মালীপুর, সারদল, দপদপিয়াসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ লাইনে সংস্কারের নামে চলছে রমরমা খাম্বা বাণিজ্য। নাঙ্গুলি গ্রামের মিজান মল্লিক, সোহাগ মুন্সি, পৌরকর্মচারি প্রিন্স ও বৈচন্ডী গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা হান্নান শিকদারসহ অন্যেরা বিদ্যুৎ ওই ঠিকাদারের সাথে যুক্তি করে এলাকাবাসীর কাছে খাম্বা দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা তুলছেন। এদিকে বৈচন্ডী গ্রামে হান্নান শিকদার নাঙ্গুলী আড়াপোল থেকে ১৩ খাম্বা অনুমোদনের কথা বলে বিদ্যুৎ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ১৩ খাম্বা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলে পরও বৈচন্ডী গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অংশে বাসরত তিশতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত থাকবে। যাতে ওই গ্রামের সব পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা পায় সে বিষয় জোর দাবী জানিয়েছে এলাকায় বিদ্যুৎ বঞ্চিত মানুষগুলো। অপরদিকে পাশ্বর্বতী নাঙ্গুলি গ্রামের ঝুকিপূর্ণ লাইর সংস্কার না করে পৌরকাউন্সিলর লুৎফর কবির প্রিন্স ও দালাল মিজান মোল্লা এলাকাবাসীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎতের খাম্বা বসিয়ে লাইন টানছেন। ২১শহর প্রকল্পের নাঙ্গুলী গ্রামের সুলতান হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন দুনীর্তির বিষয়টি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানাযায়, উত্তোলিত টাকায় ২১শহর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোতাহার হোসেন এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিলুরও ভাগ রয়েছে। অভিযোগে গ্রাহকরা আরো উল্লেখ করে, অর্ধ শতাধিক ঝুকিপূর্ণ ওই বিদ্যুৎ লাইনের জন্য দুর্ঘটনার আতঙ্কে রয়েছে। তবুও ঠিকাদার পুরাতন বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার না করে নিজেদের ইচ্ছামত পোষ্ট খুটি ১৫/২০ হাজার টাকা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় স্থানে নতুন পোষ্ট বসিয়ে লাইন টানছে এবং পুরাতন পোষ্টগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা না দিয়ে অবৈধভাবে বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top