সকল মেনু

সহপাঠী হত্যা: আহসানউল্লাহর ২ ছাত্রের মৃত্যুদণ্ড

3_40643হটনিউজ২৪বিডি.কম : আহসানউল্লাহ্ ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি’র ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- আসামি ফরহাদ হোসেন ওরফে সিজু ও মো. হাসান। তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সফিক আহমেদ ওরফে রবিন ও শাওন ওরফে কামরুল হাসান। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি লুৎফা আক্তার ওরফে সনিকে মামলার দায় থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন যত দ্রুত সম্ভব পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে মামলার রায় কার্যকর করাই আমাদের দাবি।’

আদালত সূত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি আসামি মো. হাসানের বাসায় বসে সুবীর চন্দ্র দাসকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক পরস্পর যোগসাজসে একত্রিত হয়ে ১২ জানুয়ারি সুবীর চন্দ্র দাসকে সাভার উপজেলা কমপ্লেক্সস্থ সরকারি কোয়ার্টার থেকে বেলা ১২টার দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার আগে যে কোনো সময় আসামিরা সুবীর চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তারা মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। সাভার থানাধীন ভাকুর্তা ইউনিয়নের কোটালিপাড়া সাকিনস্থ হাজী মোহাম্মদ আলীর ব্রিক ফিল্ডের পূর্ব পাশ থেকে নদীর পূর্ব পাড়ে সুবীর চন্দ্র দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top