সকল মেনু

আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু

alc_40231হটনিউজ২৪বিডি.কম : বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২০তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে শেখ হাসিনা সকালে মঞ্চে আসেন। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের নেতা-কর্মীরা দেশের বাইরে থেকেও সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। এসেছেন বিদেশি অতিথিরাও।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের সব রাস্তায় সকাল ৮টা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে দ্বিতীয় দিন আগামীকাল রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। ওই অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকেরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

সম্মেলনে নেতাদের বসার জন্য স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নৌকা আকৃতির বিরাট মঞ্চ। ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থের এই মঞ্চে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল প্রদর্শনী। মঞ্চের দুই পাশে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের প্রতিকৃতি। বিভিন্ন প্রবেশপথ থেকে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন অর্জনের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।

মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। এর ভেতরে ২০ হাজার চেয়ার রাখা হয়েছে। রয়েছে ১৬টি এলইডি টেলিভিশন। মূল মঞ্চ থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর পর্যন্ত শতাধিক মাইক স্থাপন করা হয়েছে।

সম্মেলনের মঞ্চে নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও ঢাকা শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সম্মেলনস্থলে লাগানো হয়েছে প্রায় ১৪০টি সিসি ক্যামেরা।

এ ছাড়া উদ্যানের চারপাশের রাস্তা, নগরের সব কটি প্রবেশপথ ও অন্যান্য স্থানেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বড় দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তারা সম্মেলনে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং তা বাস্তবায়নের ভার কাদের ওপর দেয়, সেদিকে দৃষ্টি এখন সারা দেশবাসীর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দলকে গত ৩৫ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসা তার কন্যা শেখ হাসিনা সম্প্রতি বলেছেন, অবসরে যাওয়ার সুযোগ পেলে তিনি ‘খুশি’ হবেন।

তবে দলীয় নেতারা বলে আসছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের কথা বললেও দলের নেতারা তার দিকেই তাকিয়ে আছেন।
সম্মেলনের আগে নেতাকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। সভাপতির পর সাংগঠনিক দিক দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে গত দুই বারের সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই থাকছেন, না নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে- সে প্রশ্ন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও।

ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ ১১টি দেশের বিভিন্ন দলের ৫৫ জন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলটির সম্মেলনে অতিথি হিসেবে এসেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top