সকল মেনু

কোটালীপাড়ার রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম

unnamedগৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোটালীপাড়ার রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে এই ধারণা নিয়ে কোটালীপাড়ার প্রায় হাফ ডজন সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আর্শিবাদ প্রার্থনা করছেন।  বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার শুভেচ্ছা পোষ্টার, ব্যানার দিয়ে প্রার্থী হবার কথা জানিয়ে দিচ্ছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনি এলাকা হবার কারণে এই নির্বাচনটাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এখানে যারা সদস্য নির্বাচিত হবেন তারা এলাকার উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাবেন। আর এ কারণেই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় শিবিরে বইছে আলোচনার ঝড়। কারা কারা হবেন প্রার্থী । তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া এ উপজেলায় অন্য কোন দলের সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থীদের এখন পর্যন্ত মাঠে দেখা যায়নি।

জেলার ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী, সাদুল্লাপুর, রাধাগঞ্জ, রামশীল ও বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন নিয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী দেবদুলাল বসু পল্টু ও ব্যবসায়ী অরুন মল্লিকের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে এই ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। অপরদিকে কুশলা, ঘাঘর, আমতলী, শুয়াগ্রাম ও পৌরসভা নিয়ে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নুর নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি একাই নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে কান্দি, পিঞ্জুরী, হিরণ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন লিটু ও ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুষার মধুর নাম শোনা যাচ্ছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, আমি আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য প্রার্থী হবার আশা নিয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। রাজনীতি করি জনগনের সেবা করার জন্য। আর সেই সেবার চিন্তা নিয়েই প্রার্থী হবার চিন্তা ভাবনা করছি।

বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছি। এই সেবার ধারা অব্যাহত রাখতে আমি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য প্রার্থী হবার চিন্তা ভাবনা করছি এবং সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top