সকল মেনু

প্রায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি শেষ

al20_39492হটনিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন সফল করার লক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে দিনরাত কাজ করছেন। সম্মেলনকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্য রাজধানীর গুরুত্ব পূর্ণস্থান ও সড়কদ্বীপ গুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এছাড়া রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের দুই পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ঝুলানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আলোকসজ্জার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল আকারের নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে । সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং অভ্যার্থনা কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ নাসিম জানান, সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে সম্মেলনে আগত অতিথিদের দাওয়াত দেয়া শেষ হয়েছে। ১৪টি দেশের অতিথিরা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি। সাজ-সজ্জা উপ-কমিটির নেতারা জানান, সম্মেলনে পুরো ঢাকা শহর এবং দেশের সব জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। আসন্ন সম্মেলন উপলক্ষে সাজছে ঢাকা এবং সাজবে পুরো দেশ।

ঢাকা শহরের আলোকসজ্জার দায়িত্ব পেয়েছেন ‘সেটাফ মাস্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ইকবাল জানান, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জার কাজ প্রায় শেষ। সম্মেলন উপলক্ষে ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মূল আলোকসজ্জা করা হবে ।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সবগুলো উপ-কমিটি দলের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন সফল করতে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি সভা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত সাজ-সজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে দেশের মানুষের আকাংঙ্খা রয়েছে, সম্মেলন যাতে উৎসবমুখর হয়, সে জন্য সারাদেশে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করতে ৫টি গেট রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিউশনের গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ ভিআইপিরা প্রবেশ করবেন। বাকী চারটি গেট দিয়ে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা প্রবেশ করবেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা চেয়ার বসানো হবে।
এছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের আগুনসন্ত্রাসের বিভিন্ন আলোক চিত্র সাঁটানো হয়েছে। তাছাড়া জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্য সন্নিবেশিত থাকবে লিফলেট, ব্যানার ও পোস্টারে। এবারের সম্মেলনে শ্লোগান নির্ধান করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।
খাদ্য উপ-কমিটির আহবায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম জানান, সম্মেলনে বিদেশী অতিথি, রাজনৈতিক কর্মী ও অন্যান্য অতিথিসহ ৫০ হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের দুটি বুথ থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য সরবরাহ করা হবে। বিদেশি প্রতিনিধি ও অন্যান্য অতিথিসহ সম্মেলনে মোট ১৫ টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২০ জন ফোর্স, ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও দুজন করে কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের হাতে দেয়া হবে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও সিডি। সেখানে জঙ্গিবাদের পক্ষে দেয়া তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. হাছান মাহমুদ বলেন,‘ আমরা বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের ভিডিও চিত্র ও জঙ্গিবাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও আগত অতিথিদের হাতে দেবো। বিএনপি-জামায়াত যে জঙ্গিবাদের পক্ষাবলম্বন করে তা বিশ্ববাসীকে জানাবো।’
সাজ-সজ্জা উপ কমিটির সদস্য সচিব মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ হবে । এর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং গৌরব বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। ঢাকা শহরসহ সারাদেশে আলোকসজ্জা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এসব সাজ-সজ্জায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top