সকল মেনু

নড়াইল সড়ক জনপথ চলাচলে,জনদূর্ভোগ

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে সড়ক বিভাগের অধীন অধিকাংশ সড়কেরই বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। নড়াইলে কালিয়া সঙ্গে গোপালগঞ্জ তথা ঢাকার সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালিয়া,গোপালগঞ্জ সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু নির্মাণের ত্রুটি ও সংস্কারের অভাবে খুব অল্প সময়েই সড়কটির কার্পেটিং ভেঙে গিয়ে মূলখানা থেকে চাপাইল পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির নলামারা এলাকায় ভাঙন এমন আকার ধারন করেছে যে, রাস্তার গর্তে যানবাহন আটকে পড়তে শুরু করেছে। সেখানে যান চলাচল তো দূরের কথা মানুষ চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নলামারা এলাকায় সড়কটির অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সেখানে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খান-খন্দকের। এ সম্পর্কে কালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী  বলেন, ‘ওই রাস্তার বিষয়টি দেখেছি। আপাততো পিকেট দিয়ে যান চলাচল স্বভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাস্তটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দু’একটি বাদে প্রায় সব সড়কই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কতৃপক্ষের গাফিলতিতে নীম্নমানের কাজের ফলে, সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে এমন সড়কেও চলাচল দুরহ হয়ে পড়েছে ছয়মাস যেতে না যেতেই। এসব সড়ক চলাচল উপযোগী রাখতে প্রতিনিয়তই চলছে অস্থায়ী মেরামত। অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী এ মেরাতম কাজে অর্থের অপচয় ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা বলে  অভিযোগ স্থানীয়দের।

আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় নড়াইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিনে ১৭০ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে কে জাতীয় মহাসড়ক এবং নড়াইল-মাগুরা সড়কের ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। অন্য ৭টি সড়ক রয়েছে জেলা পর্যায়ের সড়ক। এর মধ্যে নড়াইল-লোহাগড়া-কালনা, লোহাগড়া-নড়াগাতি সড়ক, নড়াইল-নওয়াপাড়া সড়ক, নড়াইল-তুলারামপুর-মাইজপাড়া সড়ক, কালিয়া-বড়নাল-তেরখাদা সড়ক রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নড়াইল সড়ক  বিভাগের মোট ১৭০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে  ১২০-১২৫  কিঃ মিঃ রাস্তাই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ সড়ক-মহাসড়কগুলো ভেঙ্গে খানাখন্দক এবং বড় বড় গর্ত হয়েছে।  চলাচলের অযোগ্য এ সকল রাস্তায় জিবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে  দূরঘটনা। বেশির ভাগ সড়ক বছরের পর বছর সংস্কার এবং মেরামত না করায় বর্তমানে বেশির ভাগ সড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বঞ্চিত নড়াইল জেলায় সড়ক বিভাগের অধীন ১৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘের মোট সড়কের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে দু’টি আন্ত জেলা মহাসড়ক ও ৭টি জেলা সড়ক। প্রতিদিন এসকল সড়ক দিয়ে  যাত্রীবাহী বাসসহ হাজার হাজার যানবহন চলাচল করে। চলাচলের উপযুগী হয়ে পড়েছে জেলার অন্যতম ব্যস্ত নড়াইল-ফুলতলা সড়ক, লোহাগড়া-নড়াইল সড়ক, নড়াইল- মাগুড়া, নড়াইল-কালিয়া সড়ক। বিশেষ করে চলাচলের উপযুগী হয়ে পড়েছে জেলার অন্যতম ব্যস্ত নড়াইল-ফুলতলা সড়ক, লোহাগড়া-নড়াইল সড়ক, নড়াইল- মাগুড়া, নড়াইল-কালিয়া সড়ক। এসব সড়কে যানবাহনকে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটবড় দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ।  রাস্তার সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নড়াইল শহর (রুপগঞ্জ) থেকে কালনা ঘাট পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার। এই রাস্তার প্রায় প্রতি অংশে রাস্তা উঠে ভীতরের লাল ইট বের হয়েছে, মাঝে মধ্যে তৈরী হয়েছে গর্ত। বৃষ্টির পানি সেবব গর্তে জমে থেকে সড়কটিকে আরো ঝুকিপূর্ন করে তুলছে।

সড়ক বিভাগ নামকাওয়াস্তে প্রতিনিয়ত সংস্কারের কাজ চালালে ও তাতে কোন কাজ হচ্ছে না।  বেনাপোল থেকে এই রাস্তায় ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২’শ কিলোমিটার কম হওয়ায় দিন দিন গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠছে এই সড়ক। প্রতিদিন ঢাকা থেকে দক্ষিনাঞ্চলের বরিশাল, খুলনা,যশোর হয়ে কয়েক’শ পরিবহন, পন্যবাহী ট্রাক, বাস, কাভার্ড ভ্যান এ রাস্তায় চলাচল করে। একদিকে রাস্তার বেহাল দশার কারনে প্রতিদিন সড়কে চলাচলকারী পরিবহনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। বাস চালকরা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নড়াইলে অধিকাংশ সড়কেই বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কের উপরিভাগের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের । এসকল রাস্তা দিয়ে গাড়ি  চালালে অল্পদিনে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। কাদা পানির মধ্যে গাড়ি চালালে ব্রেক  চাপলে ব্রেকে কাজ করেনা। অনেক ঝুকি নিয়ে জিবন বাজি রেখে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ইতি পুর্বে ভাঙ্গাচুরা সড়ক সংস্কারের দাবিতে যশোর-নড়াইল-কালনা, নড়াইল-ফুলতলা, নড়াইল-ঢাকা মহাসড়কের একাধিক বার  সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। এদিকে, সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে এমন সড়কও কতৃপক্ষের যোগসাজসে নিম্নমানের কাজের ফলে ছয়মাস যেতেনা যেতেই পূর্বের অবস্থা ফিরে পেতে বসেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসব সড়কে জান চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

কিছু কিছু সড়কে চলাচল সাভাবিক রাখতে রাখতে কতৃপক্ষ জরুরি অস্থায়ী মেরাতম কাজ অব্যাহত রেখেছে।  তবে এ জাতীয় কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে যদিও জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে।     খুলনা বিভাগ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কার্যকরী সভাপতি ছাদেক আহম্মেদ খান নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, জেলার সকল রুটে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সকল প্রকার যন চলাচলের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ যাত্রী ও চালকদের। এতে সময় ও জ্বালানি তেলের অপচয় হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশংকা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। প্রতিনিয়িত ঝুঁকির মধ্যে যাত্রীসাধারণকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়ক সংস্কার ও মেরামতের দাবি জানিয়ে আমরা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক বার সড়ক বিভাগের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এরকম অবস্থা থাকলে আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে  সড়ক মেরামতের দাবীতে আন্দলনে নামতে বাদ্ধ হব। বর্তমানে সড়ক বিভাগের সব রাস্তা চলাচলের উপযোগী রয়েছে দাবি করে নড়াইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের  নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ জানান, বরাদ্দ স্বল্পতায় প্রয়োজন অনুযায়ী সড়কের সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ২০১৪/১৫ অর্থবছরে নড়াইল সড়ক বিভাগের অধীন  ৩  কোটি  টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  নড়াইল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top