সকল মেনু

মাদ্রাসা শিক্ষকসহ দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

images-181শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর:চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিশু ছাত্রী (১১)কে ধর্ষণ ও গর্ভবতি করার অভিযোগে আসামী ওই মাদ্রাসা শিক্ষক আ.জলিল মাস্টার(৬০)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায় আরো এক বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বেলা ১২টায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ আদালত ১ এর বিচারক মো.শফিকুল করিম ওই রায় দেন। আসামী বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। অপরদিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান একই দিনে অপর এক ধর্ষণ মামলার রায়ে ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।

নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড.হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, ২০১০ সালের ৩ আগস্ট হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কাপাইকাপ গ্রামের কাপাইকাপ সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক আ.জলিল মাস্টার ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে কাপাইকাপ বকাউল বাড়ির কাচারী ঘরে কয়েকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ২০১১ সালের ১৯ এপ্রিল একটি কন্যা শিশু জন্ম দেয়। ওই ছাত্রী আ.জলিলকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য হাজীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয়। পরে পুলিশ আসামীর বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১২ মে চার্জর্শীট প্রদান করলে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ আদালত ১ এর বিচারক মো.শফিকুল করিম অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৩ মে শিশু কন্যাটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমানিত হয় ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর গর্ভে জন্ম নেয়া শিশু কন্যাটি অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের ।

বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ও তার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটি ঢাকার প্রশান্তি চাইল্ড হোম কেয়ারে রাখা হয়েছে। আদালত জন্ম নেয়া শিশুর ব্যয়ভার রাষ্টপক্ষকে বহন করা নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আাসামী পক্ষ থেকে ব্যয়ভার বিধি মোতাবেক আদায় করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাথরপুর গ্রামের সেলিম গাজী নামের আরেক যুবককে একটি ধর্ষণ মামলার পৃথক রায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে একই গ্রামের লিপি আক্তার নামের একটি মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল। মেয়েটি এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে সেলিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু সেলিম তাতে অস্বীকৃতি জানালে ২০০৩ সালের ৩ আগষ্ট লিপি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে মমতাজ গাজীর ছেলে সেলিম গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারান্তে আদালত সোমবার দুপুরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top