সকল মেনু

ঢাকা ছাড়লেন শি জিনপিং

xinping_38887হটনিউজ২৪বিডি.কম : দুই দিনের সফর শেষে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।

বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে আজ শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সকাল ৯টার পরে তিনি সেখানে যান। সকাল ১০টার পরে তিনি ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

স্মৃতিসৌধে চীনের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শি শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার পর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপন এবং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকায় সাড়ে ২২ ঘণ্টার সফরে এসেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন শি জিনপিং। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগদানের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দিনের কর্মসূচি শেষ করে নিজ হোটেলে ফেরেন তিনি।

গতকাল বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকে তিনি যান হোটেল লা মেরিডিয়ানে। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন। সেখানে দুই নেতা বৈঠক করেন। এরপর সেখানেই একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। এরপর সেখান থেকে আবার হোটেলে ফেরেন তিনি। সেখানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে নৈশভোজে অংশ নেন তিনি।

শি জিনপিং-এর এই সফরে বাংলাদেশ-চীন ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যার আওতায় বাংলাদেশ চীন থেকে ২১.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ-সহায়তা পেতে যাচ্ছে।

এর মধ্েয ১২টি ঋণ ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং দুই দেশের সরকারের মধ্েয ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান।

শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘সর্বাত্মক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা’র সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার’ জায়গায় নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবির বলছেন, দুই দেশের এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মূলে রয়েছে বিনিয়োগের সম্ভাবনা।

২০১৭ সালকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব ও আদান-প্রদানের’ বছর হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্েযাগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ, যা ছিল শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মনোযোগের কেন্দ্র।

সিল্ক রোড ইকোনোমিক বেল্ট এবং একুশ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোডকে সংযুক্ত করে নেয়া এই উদ্েযাগের আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোকে একটি বাণিজ্য ও অবকাঠামো নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ত করতে চাইছে চীন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রাচীন সিল্ক রোড রুটকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট ৩ দশক পর বাংলাদেশ সফর করলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top