হটনিউজ২৪বিডি.কম : ফ্রান্সের ৩৪তম ত্যুস ক্যুর চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’। সেখানেই এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের এক্স-ওন-প্রোভঁন্সে অনুষ্ঠিত হবে ত্যুস ক্যুর চলচ্চিত্র উৎসবটি। এটি এক্স-ওন-প্রোভঁন্স ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নামে পরিচিত। ন্যাশনাল ফিল্ম সেন্টার অ্যান্ড দি মুভিং ইমেজ (সিএনসি) স্বীকৃত বিশ্বের প্রথম সারির এই আয়োজন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অন্যতম আসর। চলচ্চিত্রে নতুন প্রতিভা আবিস্কারে এর খ্যাতি রয়েছে। ফ্রঁসো ওযো, লোরেন কন্তে, ডেলফিন গ্লেইজ-সহ অনেক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতার যাত্রা শুরু হয়েছিলো এই উৎসবে।
এ বছর জমা পড়া আড়াই হাজারের বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে নির্বাচক কমিটি ২৬টি দেশের ৮০টি ছবি নির্বাচন করেছেন। এগুলো প্রদর্শিত হবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং নিরীক্ষাধর্মী প্রতিযোগিতা বিভাগে। ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’ সেগুলোরই একটি।
একজন সদ্য বিধবা নারীর অনুভূতিকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। যেখানে স্বামীর মৃত্যুর পরও তার কোনো বেদনাবোধ তৈরি হয় না। খনা টকিজ থেকে এটি প্রযোজনা করেছেন ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছবির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন।
‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’ তাসমিয়াহ আফরিন মৌ পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র। তিনি এর আগে টেলিভিশনের জন্য বেশকিছু প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘টোকাই ২০১২’ চীনের গুয়াংজু ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২০১৪ সালে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
ছবিটিতে প্রধান দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলরুবা হোসেন দোয়েল ও আলী আহসান। এর সম্পাদনা ও শব্দ পরিকল্পনা করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ভিডিও সম্পাদক সুজন মাহমুদ। চিত্রগ্রহণে ইমরানুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।