সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রী-চীনা প্রেসিডেন্ট-এর বৈঠক শেষ, ২৬ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

xi-hasina_edহটনিউজ২৪বিডি.কম : শেষ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক। ৩টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে ৪টা ১০ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে দু’দেশের সরকারের মধ্যে প্রায় ২৬টি চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে প্রধামন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠক শেষে দু দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে প্রায় ২৬টি চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এর মধ্যে ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও উপকূল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি টানেল নির্মাণ। চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার আরও একটি এক্সপ্রেস রেললাইন নির্মাণের একটি প্রকল্প। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডাবল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে। ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রভৃতি প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দু’দেশ।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শি জিনপিংকে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা উঞ্চ অভ্যর্থনা জানান।

জানা গেছে, ঢাকা সফরে ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রায় ২১ ঘণ্টার সফরে নানা আনুষ্ঠনিকতাসহ ৯টি বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আবার হোটেলে ফিরবেন শি জিনপিং। বিকেলে হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও শি জিনপিং। বৈঠক শেষে চীনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বঙ্গভবনে। এরপর পুনরায় হোটেলে ফিরে রাত কাটাবেন তিনি।

শনিবার সকালে সাভারে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এরপরই ঢাকা ছেড়ে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে শি জিনপিংকে বহনকারী বিমানটি। আকাশ পথে বাংলাদেশ বিমানের ৪টি জেট বিমান পাহারা দিয়ে তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। ১২ টা ২ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট বিমান থেকে নেমে আসলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চীনের প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নেন।

এ সময় দুই প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক কৌশল বিনিময় করেন।

২১ বার তোপধ্বনির মাধ‌্যমে স্বাগত জানানো শি জিনপংকে। লাল পাড়ের সুবজ শাড়ি পড়া একটি শিশু ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাকে। এরপর লাল গালিচায় হেঁটে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান প্রেসিডেন্ট।মঞ্চে পৌঁচার পর সামরিক বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় প্রেসিডেন্টকে গার্ড অফ অনার প্রদান করে। বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত।

এরপরই বিমান বন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শি জিনপিং লো মেরিডিয়ান হোটেলে এসে পৌঁছান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top