সকল মেনু

কৃষকদের আশার আলো দেখিয়েছে।

jhalakati dhaner bejআজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি জেলায় মহাসেনের প্রভাব এবং পরবর্তী বিরামহীন বর্ষনে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাইব্রিড আলোড়ন জাতের ধানের ফলন কৃষকদের মনে আশার আলো দেখিয়েছে। অবিরাম পানি বৃদ্ধির কারনে পানি সহিষ্ণু স্থানীয় জাত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের রোপন করা বীজ ও বীজতলা পানিতে পঁচে গিয়েছিল।

তাই কৃষকদের পূনরায় বীজতলা করার মত সময় না থাকায় জেলার আউষ আবাদ ৭০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিন্তু হাইব্রীড আলোড়ন জাতের এই ধানের বীজতলা ও বীজ একটানা ১৫ দিন দূর্যোগ মোকাবেলা করে ঘুড়ে দাড়াতে পারবে এটা ছিলো অকল্পনীয়। ব্রাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্পের কর্মকর্তারাও প্রকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে হাইব্রীডের এমন ফলনে কৃষকদের ন্যায় তারাও আনন্দিত।

উল্লেখ্য গত ১৬ মে থেকে মহাসেন ও অবিরাম বৃষ্টির কারনে টানা এক সপ্তাহ আউষের ক্ষেত সম্পুর্ন পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর আরো ১ সপ্তাহ স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পুরো বীজ ও বীজতলা তলিয়ে পচন ধরে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বংকুড়া, নওপাড়া, সুগন্ধিয়া, শিবাইকাঠি, সাচিলাপুর ও চর সাচিলাপুর এই ৬ টি বকে ২৪৮ জন কৃষক ১৭২ দশমিক ৭১ একর জমিতে আউষ মৌসুমে হাইব্রীড আলোড়ন জাতের আবাদ করেছে। রাজাপুর উপজেলায়ও সমসংখ্যক জমিতে ব্রাকের এই কর্মসূচীর আওতায় কৃষকরা আলোরন জাতের আবাদ করেছে।

সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের বংকুড়া গ্রামে অর্ধশতাধিক কৃষক ৩৪ দশমিক ৯৫ একরে আলোড়ন জাতের হাইব্রীড জাতের আবাদ করেছে। এদের মধ্যে কৃষক মো: আ: কাদের সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এতবড় দূর্যোগ কাটিয়ে এই জাতের ধানের ফলন আবার মাথা তুলে দাড়াবে তা কল্পনাও করিনি।

। ঝালকাঠি ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর সদর উপজেলা ব্যবস্থাপক মলয় কুমার দাস জানান, এইরকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাইব্রীডের বীজ আবার ঘুরে দাড়াবে এটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top