সকল মেনু

আজ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস

durjog_38524হটনিউজ ডেস্ক : আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘টেল টু লিভ’ যার ভাবার্থ ‘দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে হলে, কৌশলসমূহ বলতে হবে’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ওসমানী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি এ কথা বলেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টক’শো, সড়ক দ্বীপ সাজ-সজ্জা, র‌্যালি, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া, স্মরনিকা প্রকাশ ইত্যাদি রয়েছে।
মায়া বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও পূর্ব প্রস্তুতির উপর গুরুত্বারোপ করতে চায়। বিশেষত জনসচেতনতার জন্য দুর্যোগ মোকাবেলার কৌশলগুলো জনগণকে অবহিত করাই মূল লক্ষ্য। মন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মোকাবেলার কৌশল হিসেবে জনসচেতনতার পাশাপাশি দেশব্যাপী ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া করা হচ্ছে। গত ৯ অক্টোবর সচিবালয়ে ও ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার সদরঘাটে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া করা হয়েছে।
এ ধরণের মহড়া নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন কমিউনিটি, প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজে করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনের জন্য ২ শতাধিক কোটি টাকার উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে সরবরাহ করা হচ্ছে। চৌধুরী বলেন, সাইক্লোন মোকাবিলার কৌশল হিসেবে সাইক্লোনে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও র‌্যাবকে ৬টি উদ্ধারকারী জাহাজ সরবরাহ করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলাসমূহে ১২টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ১০০ সাইক্লোন সেল্টার ও ৪৯টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ওসমানী মিলনায়তন থেকে একযোগে উদ্বোধন করবেন বলেও তিনি জানান।
সাইক্লোন আসার ৫ দিন পূর্বে সরকার আগাম বার্তা প্রদান করছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, এবছর ঘূর্ণিঝড় রুয়ানো উপকূলীয় ১৮টি জেলায় আঘাত হানে। এতে ২৭ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে এবং ৪ লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে ও ১২ লাখ লোক পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রুয়ানো আঘাত হানার পূর্বেই সরকার প্রায় ৫ লক্ষ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয় বলে জানান। তিনি বলেন, একই রুয়ানোতে শ্রীলংকায় ২ শতাধিক লোকের প্রাণহানিসহ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের মত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। অপরদিকে বর্তমান সরকারের যথার্থ প্রস্তুতির কারণে এ ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বজ্রপাতকে সরকার ২০১৫ সালেই দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে চৌধুরী বলেন, বজ্রপাত মোকাবিলায় আগাম সতর্ক বার্তার সুযোগ খুব নাই বললেই চলে। তারপরও ভারী মেঘের আনাগোনা লক্ষ্য করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকলে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সরকার বজ্রপাতে করণীয় বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং ও লিফলেট বিতরণ করেছে, বাসা বাড়িতে বজ্রপাত নিরোধক দন্ড লাগানোর অনুরোধ করেছে। বিশেষজ্ঞগণের অভিমত অনুযায়ী প্রচুর পরিমানে তালগাছ ও নারকেল গাছ রোপন করা হলে গ্রামে-গঞ্জে সেগুলো বজ্র নিরোধক দন্ড হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিভিন্ন আগাম বার্তা পেতে ১০৯০ তে মোবাইল করে জেনে নিতে মন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনের পর মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top