সকল মেনু

নড়াইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাগজ কলমে

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র ডাক্তার সংকট। ফলে অত্র অঞ্চলের প্রায় ২৩ লাখ মানুষ কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, এই কমপ্লেক্সেটি নিজেই এখন রোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ১০ শয্যা থেকে কাগজে কলমে ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও জনবল সংকটের কারনে বাস্তবে অবকাঠামো ৩১ শয্যার । মোট ২১ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলে ও কর্মরত রয়েছে ৫ জন। প্রতিদিন হাসপাতালে প্রায় ৩-৪’শ রোগী সেবা নিতে আসেন। আগত রোগীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পাননা বলে একাধীক অভিযোগ রয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় সোমবার (১০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র ৩ জন ডাক্তার রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আউটডোরে রোগীদের প্রচন্ড ভিড়। আউটডোরে কর্মরত ডাক্তার মহিউদ্দিন বলেন, আমার কর্মস্থল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে হলেও ডাক্তার স্বল্পতার কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গোপীনাথপুর গ্রামের রোজিনা খাতুন বলেন, হাসপাতালে প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কিনেছি । এখন ৪০,৫০জন রোগীর পেছনে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তারের সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। উপজেলার সত্রহাজারী গ্রামের দরিদ্র কৃষক সবুর কাজী ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে চিকিৎসা প্রত্যাশী মানুষজন উপজেলা হাসপাতালে আসলেও কোন চিকিৎসা সেবা পান না। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাদেরকে ঔষুধের পরিবর্তে বেশির ভাগ পরামর্শ দিয়ে থাকেন’। পৌর এলাকার লক্ষীপাশা গ্রামের সোমা মুখার্জি আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানায়, হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ নানাবিধ সমস্যার কারনে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কেউই কাংখীত সেবা পান না।

বিগত ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কাগজে-কলমে হাসপাতালটি ৫০ শয্যার সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এর পরে রোগীদের কাছ থেকে ৫০ শয্যার জন্য সেবামূল্য আদায়ও করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নতুন ভবনের টিকেট কাউন্টার এবং পার্শ¦বর্তী কয়েকটি কক্ষে ডাক্তারদের চেম্বার রয়েছে। ভবনের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, অক্সিজেন সিলিন্ডার, জরুরী ঔষধ, আলট্রাসনো মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিক্ষিপ্ত ভাবে অযতœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এ সব সরঞ্জামাদি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সনোলজিস্ট না থাকায় আলট্রাসনো সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। যা দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এম কামাল হোসেন বলেন, উপজেলার মোট জনসংখ্যার তুলনায় হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আগামী সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুন নাহারের সাথে তার কার্যালয়ে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নী। মোবাইল ০১৫৫৮৩২৫৯১৪ নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার পর তিনি বলেন, কাজে বাইরে রয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তর সংকট প্রসঙ্গে তিনি তার কার্যালয়ে এসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top