সকল মেনু

নডাইল জেলার উপকারভোগী হতদরিদ্র মানুষ এখনো ১০ টাকার চাল পাননি

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: তদরিদ্রের তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে নড়াইল জেলার ৩৪ হাজার ৫০৪ জন হতদরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যের ১০ টাকা কেজির চাউল পায়নি। জেলা খাদ্য বিভাগ জানান, চাল বিক্রির জন্য জেলায় ৭৯ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হলেও দুই উপজেলার তালিকা এখনও ঠিক না হওয়ার কারণে চাউল দেওয়া শুরু হয়নি। অন্যদিকে জেলা প্রশাসক বলছেন, জেলার তালিকা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ চাউল দেওয়া হবে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায়, জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সারা দেশে খাদ্য সহায়তা প্রকল্পে হতদরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে (১০ টাকা কেজি দরে) চাল বিতরণ শুরু হয়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল এই ৫ মাস হতদরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায়  নড়াইল জেলায় ৩৪ হাজার ৫০৪ জন হতদরিদ্র প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে স্বল্পমূল্যের এ চাল দেওয়া হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৪৫৯, কালিয়া উপজেলায় ১০ হাজার ২০৪ এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৪১ জন রয়েছে। তালিকা তৈরীর অভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে নড়াইলের হতদরিদ্ররা এ চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাল বিতরণের জন্য ৭৯ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ২৫ জন, লোহাগড়া উপজেলায় ৩২ জন এবং কালিয়া উপজেলায় ২২ জন ডিলার রয়েছেন।  এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ কামাল হোসেন আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানায়, জানান, কালিয়া উপজেলার তালিকা পাওয়া গেছে। কিন্তু সদর উপজেলা এবং লোহাগড়া উপজেলার তালিকা এখনও হয়নি। তবে কয়েকদিনের দিনের মধ্যে তালিকা হাতে এসে পৌঁছাবে।আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রায় এক মাস পেরোলেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ কার্যক্রমে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় উপকারভোগী পরিবারের তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে সেপ্টেম্বর মাসের চাল তুলতে পারেননি ডিলাররা। কম দামে চাল কেনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো হতদরিদ পরিবারগুলো। গত ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ কর্মসূচির অধীন দেশের বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে সরকার।

উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে লোহাগড়া উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৪১টি পরিবার। প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে। এ জন্য এ উপজেলায় ৩২ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এবং আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস এ বিশেষ সহায়তা পাবে এসব হতদরিদ্র পরিবার। উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করতে প্রতিটি ইউনিয়নে ১৭ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে কমিটির সভাপতি উপজেলার একজন কর্মকর্তা এবং সদস্যসচিব হলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সব ইউপি সদস্য এবং দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এ কমিটিতে আছেন। এ কমিটি উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা কমিটিতে জমা দেবে। উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পর ডিলাররা উপকারভোগীদের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করবেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর লোহাগড়ায় ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। ওই দিন প্রতিটি ইউনিয়নে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করতে চিঠি দেওয়া হয়। ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে গতকাল সোমবার ৯টির তালিকা উপজেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। শালনগর, কোটাকোল ও ইতনা ইউনিয়নের তালিকা এখনো জমা হয়নি। ১০ সদস্যের উপজেলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদস্যসচিব উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপকারভোগীদের তালিকা দ্রুত পাঠানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের তাগাদা দেন ইউএনও সেলিম রেজা। তিনি জানান, সব ইউনিয়নের তালিকা উপজেলা কমিটির কাছে জমা হওয়ার পরই অনুমোদন দেওয়া যাবে। সেপ্টেম্বর মাস পার হয়ে যাওয়ায় ওই মাসের চাল আর দেওয়া সম্ভব হবে না। ইতনা ইউনিয়ন কমিটির সদস্যসচিব ও ইউপি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপকারভোগীদের ভোটার আইডি কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় তালিকা পাঠাতে দেরি হচ্ছে। কোটাকোল ইউপির চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন বলেন, ইউনিয়ন বাছাই কমিটিতে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন মেম্বাররা (সদস্য)। তাঁদের কারণে তালিকা পাঠাতে দেরি হয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করে উপজেলা কমিটিতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top