সকল মেনু

ঈদ কেনাকাটায় বেইলী রোড

Bayle-Road-bg20130722050610স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,ঢাকা: ঈদ এলেই বেড়ে যায় সব শ্রেণী মানুষের কেনাকাটা। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ঘরানার মানুষের ঈদ কেনাকাটায় পছন্দ নগরীর অভিজাত শপিংমলগুলোই।বিশেষ করে নাটকপাড়া বেইলী রোডের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলোতে প্রতিবছরই অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতার সমাগমে মুখর হয়ে ওঠে।ঝুট-ঝামেলামুক্ত নিরিবিলি পরিবেশে বেইলী রোডের শপিং জোনগুলো বরাবরই ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে থাকে। কারণ, বেইলী রোডে রয়েছে দেশের শীর্ষ ফ্যাশন হাউসগুলোর সময়ের সেরা কালেকশন।রাজধানীর বেইলী রোডে এখন বাহারি শাড়ির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। মোহনীয় ডিজাইনের বাহারি শাড়ির জন্য বরাবরই বিখ্যাত বেইলী রোড। দেশি সুতা, তাঁতীদের ঘাম ঝরানো শ্রম আর নয়নাভিরাম নকশায় তৈরি হওয়া শাড়িতে এরই মধ্যে সেজে উঠেছে পুরো বেইলী রোড এলাকা।প্রতিবছর ঈদ এলে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা শাড়ি কেনার জন্য ছুটে আসেন বেইলী রোডে। দেশের প্রায় সব বিখ্যাত শাড়ির কালেকশন পাওয়া যায় বলে এখানে নারীদের ভিড় অন্য যে কোনো মার্কেটের চেয়ে একটু বেশিই হয়ে থাকে।বিক্রেতারা জানান, বেইলী রোডের শাড়ির দোকানগুলোতে এখন ঢাকাই জামদানি, ঢাকাই মসলিন, টাঙ্গাইল চিত্রা, টাঙ্গাইল বুটিকস, টাঙ্গাইল বালুচুরি, মার্চ স্লাইচ কটন, খাদি, ওসমিনা কটন, বাফা, টাঙ্গাইল সফট সিল্ক, হাফ সিল্ক, মিরপুর কাতান, ভেজিটেবল ডাইং, এপ্লিক, ব্লক প্রিন্ট, সামদানি, সুতি, এন্টিকস, রাজশাহী সিল্ক, এন্ডি সিল্ক, এন্ডি কটন, টুয়েল কটন, বিভিন্ন ধরনের তাঁতের শাড়িসহ দেশিয় প্রায় সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়।বেইলী রোডের শাড়ির দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, সজনি, বধূয়া, স্মৃতি, রমনী, নাভিলা, ঝলক, অনন্যা, বেইলী শাড়ি কুটির, টাঙ্গাইল তাঁত ঘর, ঊনিশ-কুড়ি, উৎসব শাড়ি কমপ্লেক্স, এম ক্রাফ্ট, জেসমিন কনসোর্টিয়াম, প্রিয়দর্শিনী, বসন উল্লেখযোগ্য।বিক্রেতারা জানান, এসব দোকানে শাড়ি কিনতে ক্রেতাদের খরচ পড়বে সর্বনিম্ন পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা দামের মধ্যে যেসব শাড়ি রয়েছে সেগুলোই বেশি বিক্রি হয় বলে জানান তারা।মোটামুটি সবার সাধ্যের মধ্যেই দাম হওয়ায় সব শ্রেণীর ক্রেতারাই এখানে বেশি আসেন বলে তারা জানান।টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের ম্যানেজার কামরুল হাসান বলেন, “এখন সবাই উপহার দেওয়ার জন্যই বেশি শাড়ি কিনছেন। তাই, এখন তুলনামূলক কম দামের মধ্যে টাঙ্গাইল বুটিকস, ব্লক প্রিন্ট, সুতির শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেশি দামের মধ্যে রয়েছে ঢাকাই জামদানি, মিরপুর কাতান, ঢাকাই মসলিন ইত্যাদি।গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো বলেও জানান তিনি।এ ছাড়া আরো কিছু ফ্যাশন হাউজ রয়েছে, যেখানে শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের থ্রি-পিস, টু-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, আন স্টিচ থ্রি-পিস, স্টিচ থ্রি পিস, টপস, লেগিংস, বিভিন্ন ধরনের ম্যাচিং অর্নামেন্টস, যেমন হাতের বালা, ইয়ার রিং, নেকলেস, ছেলেদের শর্ট পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি, পাজামা, শার্ট, ফতুয়া, জিন্স, টি-শার্ট, টাই, বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রি-পিস, টপস ইত্যাদি পাওয়া যায়।এ সব ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অঞ্জনস, দেশাল, সাদাকালো, ইয়োলো, কে ক্রাফট, রঙ, লুবনান, লাল-সাদা-নীল-হলুদ, বাংলার মেলা, ঘাসফুল, বুনন, সাইমা ফ্যাশন হাউজ ইত্যাদি।দেশাল, সাদাকালোর মতো ফ্যাশন হাউজগুলোতে দাম কম হলেও ইয়োলো, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, রঙ এর মতো ফ্যাশন হাউজগুলোতে দাম কিছুটা বেশি পড়বে।দেশাল ফ্যাশন হাউজের ইন-চার্জ শেখ রাসেল বলেন, ‘আমাদের এখানে সাধারণত নিয়মিত ক্রেতারাই বেশি আসেন। আমাদের তাঁত-তাঁতী নিজেদের এবং কাপড় শতভাগ সুতির। তাই, মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। আর এখন পর্যন্ত বাচ্চাদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে।হরতাল-অবরোধের কারণে বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top