সকল মেনু

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে আজ কুমারী পূজা

kumari-puja_37949হটনিউজ২৪বিডি.কম : বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীতে আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। এর আগে শ্রী শ্রী দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্যদিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে সপ্তামী পূজা। ফলে আজ মহাঅষ্টমীতে সাড়ম্বরে পালিত হবে এবারের কুমারী পূজা। মহাঅষ্টমীর তিথি দিবা ৬টা ৩ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পূজা প্রশস্তা ও মহাং অষ্টমীর ব্রতোপবাস। বিকেল ৫ টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা আরম্ভ এবং সন্ধ্যা ৬ টা ২৭ মিনিটের মধ্য পূজা সমাপন করতে হবে। এছাড়াও অষ্টমী পূজা শেষে অঙ্গুলী প্রদান ও ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ। ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠে মহাঅষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ৩ মিনিটে। কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। সন্ধিপূজা আরম্ভ হবে বিকেল ৫ টা ৩৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৬টা ২৭ মিনিটের মধ্যে। মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের তন্ত্রধারী স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন মহারাজ) জানান, মহাষ্টমীর দিন সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে জগতমাতার (দেবী দুর্গা) আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্যই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পূজার মূল লক্ষ্য। কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, দেবী দুর্গার সামনে বসিয়ে ঠিক যেভাবে তার (দুর্গার) আরাধনা করা হয়, একইভাবে কুমারীকে সে সম্মান প্রদান করা হয়। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়। বিশুদ্ধ স্বভাবের গুণাবলী দেখে একজন নারীকে কুমারী হিসাবে নির্বাচিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ২৯ হাজার ৩৯৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩২৪টি বেশি। আর রাজধানী ঢাকায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে ২২৯টি মন্ডপে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্তলোকে (পৃথিবী) আসবেন। আর দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এ পূজার আয়োজন করায় এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধারে যাত্রার আগে শ্রীরাম চন্দ্র দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবশ্যা তিথিতে। এ জন্যই দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top