সকল মেনু

নড়াইলে হতদরিদ্ররা পেলনা: ফেরত গেল দশ টাকা দরের চাল

unnamedউজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে হতদরিদ্রদের নামের তালিকা তৈরি না হওয়ায় দশ টাকা কেজি দরের সেপ্টেম্বর মাসের চাল ফেরত গেল। ফলে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে উপজেলার ১৫ হাজার ৮৪১টি পরিবার। জানা গেছে নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউপির নামের তালিকা না আসায় বাকি ৯টি ইউনিয়নের সুবিধা ভোগীরা দশ টাকা কেজি মূল্যের প্রায় ৪৭৫.২৩ মেট্রিকটন বরাদ্দ কৃত চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জন্মদিনে আনন্দ-উল্লাস, কেক কাটা, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হইচই, কখনো বা আতশবাজি- এসবই তো হয়। যে দিনে এই পৃথিবীর মুখ দেখা, সেই দিনটাকে প্রতিবছরই এভাবে স্মরণীয় করে রাখছেন অনেকে। ওই উৎসবের দিনের ছবি কেউ রাখছেন ফ্রেমবন্দী করে। এ খবর জানার পর অত্র উপজেলার হতদরিদ্র জনসাধারণ দারুন ভাবে হতাশাগ্রস্থ এবং ক্ষুব্ধ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত সরকারি প্রতিনিধি ও নাম প্রনয়ণ কমিটির সভাপতি এবং ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের গড়িমসির কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষটি নিশ্চিত হওয়ায় উপজেলার সচেতন মহলের অভিমত, দরিদ্র বান্ধব সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা কতিপয় সরকারি কর্মকর্তার অবহেলার কারনে নস্যাৎ হচ্ছে এবং তাদের গড়িমসির কারনে সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবে রুপপেতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় হত দরিদ্রদের মধ্যে দশ টাকা কেজি দরের প্রায় ৪৭৫.২৩ মেট্রিকটন বরাদ্দ কৃত চাল সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা। কিন্তু লক্ষীপাশা, লোহাগড়া, জয়পুর, নোয়াগ্রাম, নলদী, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, লাহুড়িয়া ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নামের তালিকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জমা হলেও ইতনা, কোটাকোল ও শালনগর ইউনিয়নের নামের তালিকা জমা হয় নি। এ কারনে সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার বরাদ্দ কৃত প্রায় ৪৭৫.২৩ মেট্রিকটন চাল পাচ্ছে না হতদরিদ্র মানুষ। এ ব্যাপারে ইতনা ইউনিয়নে দরিদ্রদের নামের তালিকা প্রনয়ণ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার বলেন, কমিটি আমি সহি করে দিছি। সচিব দাখিল করছে মনে হয়। ইতনা ইউনিয়নের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, আমরা রবিবার (২ সেম্পেম্বর) ফুড অফিসে নামের তালিকা জমা দিয়েছি। দেরিতে জমা দিয়েছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের বন্ধ এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করার জন্য দেরি হয়েছে। শালনগর ইউনিয়নের সচিব ও দরিদ্রদের নামের তালিকা প্রনয়ণ কমিটির সদস্য সচিব মাছুদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে নামের তালিকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় দেরি হচ্ছে। নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়নি কেন কারন জানতে চাইলে কোটাকোল ইউনিয়নের সচিব ও নামের তালিকা প্রনয়ণ কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান বলেন, নামের তালিকা জমা দেব দেব এমন সময় এডিপি(অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) স্যার বলেন ভিকারিদের নাম ইনক্লুড করতে হবে তাই নামের তালিকা দিতে পারিনাই। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা  শেখ মঈন-উল-ইসলাম, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় বলেন সময় মত নামের তালিকা তৈরি না হওয়ার কারনে সেপ্টেম্বর মাসের দশ টাকা দরের চাউল দেওয়া সম্ভব হয় নি। তবে আশা করছি পরবর্তী মাসের চাউল আমরা সময় মত দিতে পারব। হতদরিদ্রদের নামের তালিকা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম রেজা এ বিষয়ে জানান, কয়েকটি ইউনিয়নের নামের তালিকা বিলম্বে পাওয়ার কারনে সেপ্টেম্বর মাসের চাল দেওয়ার আর সুযোগ নাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top