সকল মেনু

এবার মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রমেস্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট

 highcourt_37545হটনিউজ ডেস্ক:  চলতি ২০১৬-১৭ সেশনে মেডিকেলে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি দায়ের করেন। আগামীকাল শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রিটে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ পাস নম্বর নির্ধারণ বেআইনি দাবি করে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২০১৬-১৭ সেশনে মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতর মেডিকেল ভর্তির একটি বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনার ২ ধারা অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে মোট জিপিএ ৯ ও ধারা অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় পাশের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তির শর্ত আরোপ করা হয়। তিনি আরও বলেন, এর আগে ভর্তির পরীক্ষায় আবেদনের জন্য মোট জিপিএ ৮ প্রাপ্তির বিধান ছিল। তখন এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ ও নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হতো। তাছাড়া আগে জিপিএর ওপর ১০০ নম্বর থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ২০০ নম্বর করা হয়েছে।

মেডিকেল ভর্তির ক্ষেত্রে এসব শর্তারোপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে উল্লেখ করে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২০১০ এর ৫ (৫) ধারা অনুযায়ী মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণের ক্ষমতা কাউন্সিলের। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর আইনগতভাবে কর্তৃত্ব না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষায় পাসের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তির শর্ত যোগ করেছে। এই কারনে ভর্তির শর্তাবলীতে নতুন করে এসব শর্ত আরোপ করার বিধান বেআইনি, আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং ভর্তি নীতিমালা ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী, যা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top