সকল মেনু

মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ কেশবপুরবাসী

unnamed মেহেদী হাসান,কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: একদিকে প্রচন্ড, অসহনীয় তাপদাহ। অপরদিকে পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং এর নামে লুকোচুরিতে জন দুর্ভোগ বাড়ছেই।যশোরের কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরমে পৌচেছে। শহরে মাঝে মধ্যে দেখা মিললেও পল্লী এলাকায় বিদ্যুত সোনার হরিণে রুপ নিয়েছে। আর মাত্র ক দিন পরই পিএসসি ও জে এসসি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের বিদ্যুতের অভাবে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসাযী ও গ্রাহকদের সমানতালে বিদ্যুৎ বিল, মোমবাতি ও জেনারেটরের আলোর টাকা গুনতে হচ্ছে। ৩৩ কেভি লাইনের অজুহাত দিয়ে বিদ্যুৎ অফিস পার পেতে চাইছেন। গ্রাহকরা জানিয়েছেন এ লাইনের অজুহাত তারা দেড় বছর ধরে শুনে আসছেন। এ ছাড়া শহরের সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহে বৈষম্যের কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। আকাশে মেঘ উঠলেই কেশবপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কেশবপুর পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ আসে রাত ১২ টার পর। সন্ধ্যা থেকে গ্রাহকরা ভ্যাপসা গরমে কাটান। গ্রাহকরা ক্ষোভের সাথে জানান, পল্লী বিদ্যুৎ এর এলাকা পরিচালকরা ভোট নেয়ার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত, মিটার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ লভ্যতার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নির্বাচিত হলেও তারা পল্লী বিদ্যুৎ কর্র্তৃপক্ষের তাবেদারী করে চলায় গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিদ্যুৎ কখন আসবে জানার জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ না করায় এবং সন্তোষজনক কোন জবাব দেয়া হচ্ছে না। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন থেকেই বিদ্যুতের চরম ভোগান্তির খবর পত্রপত্রিকায় লেখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া রীতিমতো লাঠে উঠতে চলেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ কম না থাকায় একটু অসুবিধা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top