সকল মেনু

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিরূপ প্রচারণার ভিত্তি নেই – পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

anwar-hassain_36287সচিবালয় প্রতিবেদক : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হবে মর্মে প্রচারণার বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে, সুন্দরবন অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে মর্মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রচার মাধ্যমে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তার বিজ্ঞানসম্মত কোন ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন অঞ্চলে কোন ক্ষতি হবে না। কারণ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সুন্দরবনের নিকটস্থ এলাকায় হওয়ায় আলোচ্য প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (এনভায়রনমেন্টাল ইমপেক্ট এসেসমেন্ট-ইআইএ) প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকেল টেকনোলজির হবে এবং এই প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন এন্ড অপারেশন ফেইজ-এ সুন্দরবনের ওপর যেন কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আলোচ্য প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত বায়ুর মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গাইডলাইনস এ উল্লেখিত নির্ধারিত মানমাত্রার মধ্যে থাকবে, কোন ধরনের আনট্রেটেড অথবা হিটেড ওয়াটার নদীতে নির্গমন করা হবে না এবং ইটিপি-তে পরিশোধিত পানি যথাসম্ভব পুনঃব্যবহার করা হবে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ০.৬% এর চেয়ে কম সালফারযুক্ত উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হবে, যা অস্ট্রেলিয়া/ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স হিসেবে ইএসপি (ইলেক্ট্রো স্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর), ল নক্স বার্নার, এফজিডি (ফ্লো গ্যাস ডিজোলফিউরাইজেশন), ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনী, ইত্যাদি এবং পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স হিসেবে ইফোলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি), সেটলিং পুন্ড, ওয়েস্টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, এপিআই ওয়েল ওয়াটার সেপারেটর, ওয়াটার রিসাইক্লিং এন্ড রিউসি ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সৃষ্ট ফ্লাই/বটম এ্যাস পুরোপুরি ইউটিলাইজেশন এর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কয়লা থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোল ডাস্ট সাপ্রেশন সিস্টেম (ডিএসএস), ক্লোসড কনভয়ার বেল্ট, কনভারড কার্গো/শিপ ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বিপিডিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক আলোচ্য প্রকল্পের অনুকূলে ইআইএ প্রতিবেদন অনুমোদনের পর এর কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। কাজেই ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top