সকল মেনু

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

1475154155_14-_36169হটনিউজ ডেস্ক: টাকা ও সমর্থন দিয়ে যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৩টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ‘টাইসন কর্নার’ এর রিটজ কার্লটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহত্তর ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক মামলা নয়। এগুলো মানুষ পোড়ানোর মামলা।’
শেখ হাসিনা বলেন, দোষী ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যারা অপরাধীদের লালন করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন তাদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ সময় উপস্থিত শতাধিক নেতাকর্মী স্লোগান দিয়ে বিচারের বিষয়ে তার বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
এবার আড়ম্বরহীন পরিবেশেই যুক্তরাষ্ট্রে নিজের জন্মদিন পালন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শৈশবেই তিনি তার প্রয়াত বাবার কাছ থেকে অন্যের কল্যাণে আত্মত্যাগের শিক্ষা পেয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যরা কখনও বিলাসিতার ফ্যাশন হিসেবে জন্মদিন পালন করেননি, যখন খাবার ও আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে লড়াই করতে হয়েছে।
বিদেশিদের ওপর নির্ভর করায় বিএনপি’র প্রতি উপহাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে তারা বারবার বিদেশিদের কাছে অভিযোগ তুলছে। জনগণের শক্তির ওপর তাদের কোনও ভরসা নেই।
আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গিয়ে পরিবারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মায়ের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান সরকারের মামলা মোকাবিলা এবং এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পরিবারে সেভাবে সময় দিতে পারতেন না বঙ্গবন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ভূমি ও ছিটমহলের সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির কাজও তিনি শুরু করেছিলেন। এমনকি স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার দূরদর্শী লক্ষ্য নিয়ে তিনি শেল অয়েল কোম্পানি থেকে গ্যাস ফিল্ডগুলো কিনে নিয়েছিলেন। মাত্র তিন বছরের শাসনকালে তিনি অর্থনৈতিক অবকাঠামো এবং সংবিধান প্রণয়নসহ সব মৌলিক কাজের ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত হতে পারতো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেছেন সেটাও স্মরণ করেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্বাধীনতা-উত্তরকালের অর্থনীতির পুনর্র্নিমাণ করেছেন। ওআইসি এবং কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top