সকল মেনু

মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্র

unnamedযশোর প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থল বন্দরে মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘোষনার চেয়ে দ্বিগুন বেশি মাছ আমদানী করে তা খালাশ করতে শুল্ক ফাঁকির কাগজ অস্ত্রের মুখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কাস্টমস কর্তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছে।
তারা কাস্টমসকে বলছে বিজিবি ম্যানেজ হয়েছে, মাসোহারা নিচ্ছে সাংবাদিক, পুলিশ, কাস্টমস গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক নেতারা তাই কোন সমস্যা নেই।
এই তথ্য যাতে সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশ না হয় তার জন্য মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্রের সদস্যরা কিছু অসৎ সাংবাদিকদের মাসোহারা দিচ্ছে। কাস্টমস শুল্কায়ন ও গোয়েন্দা দলকে দিচ্ছে মোটা টাকা। এ জন্য মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্রের সদস্যরা রয়েছে সেফ জোনে।
খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে ৪-৫ জন আমদানীকারক ও ৪-৫ টি সি এন্ড এফ এজেন্ট মালিক মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্র গড়ে তুলেছেন। কতিপয় কাস্টমস কর্মকর্তা ঐ চক্রের নেপথ্য শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তাদের রয়েছে একটি সশস্ত্র বাহিনি। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী হুন্ডির টাকা ও সোনা পাচারকারী চক্র ধরতে কাস্টমস গোয়েন্দারা সাফল্য দেখলেও মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্র ধরতে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। সম্প্রতি যশোর ২৬ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ঘোষনার চেয়ে দ্বিগুন বেশি মাছ আমদানীর বেশ কয়েকটি চালান আটক করেন। ঘোষনার চেয়ে দ্বিগুন বেশি মাছ আমদানী করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নেবার সময় বিজিবি কর্তৃক আটক হয়। এ বিষয়ে বিজিবির দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দৈনিক কল্যাণ ও বিভিন্ন জাতীয়-স্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশ হওয়ায় শুল্ক ফাঁকির চক্রের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়। ঐ চক্রের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়া সাংবাদিকদের ইন্ধনে শুল্ক ফাঁকির চক্রের সশস্ত্র ক্যাডাররা ইনডিপেনডেনাট টিভির বেনাপোল প্রতিনিধি আব্দুল রহিমকে বেদম মারপিট করে হাসপাতালে পাঠায়। হামলাকারীদের ভয়ে ও অর্থ সুবিধা নেয়ার কারনে আজ পর্যন্ত বেনাপোলের কথিত বড় মাপোর সাংবাদিকরা টুশব্দ করেনি। ঐ চক্রের সদস্যদের হামলায় কাস্টমস কর্তারা নাজেহাল হলেও টনক নড়েনি রাষ্ট্রযন্ত্রের। মাছ আমদানীতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া চক্রের সদস্যদের ধরছেনা বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ, স্থানীয়রা বলছে কারন অজ্ঞাত।
যশোর ২৬ ব্যাটালিয়নের সিও বলেছেন সকল ভয় ভীতির উদ্ধে থেকে তারা রাষ্ট্রের স্বার্থে অভিযান অব্যাহত রাখবে। নাম প্রকাশ করা হবেনা এই শর্তে কয়েকজন কাস্টমস কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা নিরস্ত্র, আহত ও নিহত হবার ভয়েতে আছেই, তাই ব্যালেন্স করেইতো চলতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top