সকল মেনু

কেশবপুরের পুর্বাংশের ১৫ গ্রামে নুতন করে পানি উঠছে

  unnamedকেশবপুর থেকে ফিরে যশোর প্রতিনিধি, আব্দুল ওয়াহাব মুকুল: কেশবপুরের পুর্বাংশের ১৫ গ্রামে নুতন করে পানি ওঠায় বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। কেশবপুরে এক অংশে পানি কমতে শুরু করেছে অপরদিকে আর এক অংশে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পুরাতন প্লাবিত এলাকায় পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে শুরু হয়েছে পেটের পীড়া সহ নানান ধরনের পানি বাহিত রোগ।
কেশবপুর পাঁজিয়া সড়কের মাগুরাডাঙ্গা নামক স্থান থেকে ৫শ ফিট সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার পথচারি। এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে দূর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। কেশবপুর পৌরসভা এলাকায় ইতোমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে। প্লাবিত এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ায় মানুষ আশ্রয় হীন হয়ে পড়েছে। গো খাদ্যাভাব চরমে উঠায় ইতোমধ্যে এক কাউন বিচলী ১২শ’ টাকা থেকে লাফিয়ে ৩৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংস্কারের নামে লুটপাট আর ভুমিদস্যুদের দখলদারিত্বে কপোতাক্ষ, হরিহর, ভদ্রা, বুড়িভদ্রা নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়ে খালে পরিনত হওয়া, বর্ষার আগেই গভীর সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করে মৎস্য ঘের গুলো পানি দিয়ে ভরে রাখা, পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট ও স্লুইস গেটের মুখে বালুর বস্তা দিয়ে আটকিয়ে রাখার কারণে পানি নিষ্কাশনে বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় কেশবপুর বাসিকে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবণ যাপন করতে হচ্ছে।
আগষ্ট মাসে দু দফায় বর্ষণ, উজানের ও হরিহর নদীর উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও কেশবপুর পৌরসভা এলাকার ৭৬ টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বাড়ি ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ যশোর সাতক্ষীরা সড়কের পাশে টং ঘর ও ২২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যশোর সাতক্ষীরা সড়কের চিনাটোলা থেকে কেশবপুরের আলতাপোল ২৩ মাইল নামকস্থান পর্যন্ত সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এছাড়াও কেশবপুর শহরের ৯টি সংযোগ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে।

unnamed
পাঁজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, তার ইউনিয়নের হদ, পাঁজিয়া, বাগডাঙ্গা, মনোহরনগর, রাজনগরবাঁকাবর্শি, সাগরদত্তকাটি, ইমাননগর, পাঁচবাঁকাবর্শি ও ডোঙ্গাঘাটা গ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনগর বাঁকাবর্শি গ্রামের এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে পানি ওঠেনি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল ইসলাম গাজী জানান, তার রাজনগরবাঁবর্শি গ্রামের ৯০ ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। তারা অনেকেই কেশবপুর পাঁজিয়া সড়কের পাশে টং ঘরে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবণ যাপন করছেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কর্ন্দপপুর, মাগুরখারী, আলতাপোল, চুয়াডাঙ্গা, কৃষ্ণনগর, গ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ দিকে পানি কমতে শুরু করা এলাকায় শত শত নারী পুরুষ পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স থেকে মেডিকেল টীম কাজ করলেও সাধারণ মানুষ ডায়রিয়া আমাশয়, খোশ পাচড়াসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কেশবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দিন জানান, পানি কিছুটা কমলেও প্লাবিত এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ায় বনার্ত মানুষ ঘরে ফিরতে পারছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top