সকল মেনু

চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে দু গ্রুপের চাঁদাবাজি

indexনিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর:  চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় বিবদমান দুটি গ্র“প ফেরিঘাটে আসা ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ির চালক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। সোমবার বিকেলে হরিণা ফেরিঘাটে একটি তেলের ভাউচার থেকে দুটি গ্রুপ দুই ভাগে চাঁদাবাজি করছে এমন খবর শুনে চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে লরি চালক কতৃক চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতে না পারায় পুলিশ ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম থেকে (ঢাকা ঢ-৪১-০৩৫৯ ) একটি তেলের লরি বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশ্যে রোববার রাতে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে আসে। ওই রাতে  স্থানীয় লেংরা খোরশেদের নেতৃত্বে একদল যুবক লরির চালকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। পরের দিন সোমবার সকালে অপর একটি গ্রুপ ওই লরি চালকের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে অবহিত করলে উপ-পরিদর্শক আহসানুজ্জামান লাবুর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে ছুটে যায়। পরে পুলিশ ওই এলাকার চিহ্নিত একাধিক যুবককে ধরে লরি চালকদের সামনে আনে। কিন্তু লরি চালক আরমান ও হেলপার বাবু তাদের কাছে চাঁদা নেয়া যুবকদের চিহ্নিত করতে না পারায় পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। তবে এদের ভয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাচ্ছেনা বলে জানা যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাবু ছৈয়ালের একটি গ্রুপ এবং হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে আ. ছাত্তার রাঢ়ির আরেকটি গ্র“প এঘাট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাতে গিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে।
এ বিষয়য়ে হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. ছাত্তার রাঢ়ি বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার কোনো দল নেই। যারা এই ধরনেই মিথ্যা অভিযোগ করেছে মূলত তারাই এই কাজের সাথে জড়িত। আমি চাই হরিণা ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। কারা এর সাথে জড়িত তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাদের নাম বলতে পারি না।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবু ছৈয়াল জানান, আমার পরিবারের কেউ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। যারা এসব বলে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে। তবে ফেরিঘাটের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ছেলে এবং তার ভাতিজা।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক ইমরান হোসেন দুটি গ্র“পের কথা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্র“পই ঘাট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছে। এক গ্র“প চাঁদাবাজি করলে আরেক গ্র“প পুলিশকে অবহিত করে। তবে এখন হরিণা ফেরিঘাটে ফেরি কম থাকায় চাঁদাবাজি হয় না বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top