সকল মেনু

আদালতের প্রতি অনাস্থা খালেদার আইনজীবীদের

Khaleda-Ziaসিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,হটনিউজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম,ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

রোববার মামলা দু’টির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতে আসতে না পারায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেনের আদালতে মামলা দু’টির শুনানি চলছিল। বিচারক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটির আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানির জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।

কিন্তু ২৯ জুলাই খালেদা জিয়া ওমরাহ উপলক্ষে দেশে থাকবেন না বলে আদালতকে জানিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তারিখটি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। মামলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, দুদকের আইনজীবী মীর মো. আব্দুস সালাম ও রফিকুল হক বেনু।

কিন্তু বিচারক ২৯ জুলাইয়ের তারিখটি না পেছানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে মামলার শুনানিতে বিচারক ও দুদকের আইনজীবীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

এ সময় বিচারকের বিরুদ্ধে দুদক ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ তুলে তার কোর্টে মামলা না করার ঘোষণা দেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি আদালতকে বলেন, আপনার কোর্টে আমরা মামলা করবো না। মামলার তারিখ দেওয়া নিয়ে আপনি যা করলেন, তাতে মনে হলো এ মামলা করার মতো আপনার সাহস নেই। আপনি এ কোর্ট থেকে সরে যান। সরকারের শেষ সময়ে এসে এখনো মামলার প্রসিকিউটরের মাধ্যমে আপনি প্রভাবিত।

পরে বিচারক জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। কাজী সলিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার অপর আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী বরাবরই পলাতক।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে অন্য মামলাটি দায়ের করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top