সকল মেনু

গ্লোবাল ফান্ড কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ

18_09_2016-theglobalfund_34190হটনিউজ ডেস্ক :  বৈশ্বিক তহবিল পুনর্গঠন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার মন্ট্রিয়লে স্থানীয় সময় শুক্রবার হোটেল হায়াত রিজেন্সিতে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে তিনটি মরণঘাতি রোগ এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে গোটা বিশ্বকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে আন্তর্জাতিক তহবিল সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সম্ভব। আমাদের যা প্রয়োজন তা হচ্ছে হচ্ছে প্রতিশ্রুতি, প্রত্যয়, সংহতি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমার সরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো, পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে বিশ্ব তহবিল থেকে সহায়তা প্রয়োজন।” সারাবিশ্বে এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষা রোগ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াই এই বৈশ্বিক তহবিল গঠনের মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল, তোগোর প্রেসিডেন্ট ফাউরি জিনাসিংব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডিবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফনির মহাসচিব মাইকেল জিন এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে এক অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে উল্লেখ করে বক্তৃতায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের সমাজের জন্য স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে জরুরি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গে দারিদ্র বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ূ পরিবর্তন ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলোর যোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব আর একটি জটিল অবস্থানে দাঁড়িয়ে। ২০১৫ সালে আমরা জাতিসংঘে যে টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা নিয়েছি তার জন্য দারিদ্র্যমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এমডিজি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও এ সময় তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
গত দুই দশকে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুর মৃত্যুর হার কমেছে ৬৬ শতাংশ, আর শিশুমৃত্যুর হার কমেছে ৬২ শতাংশ, বিশ্ব সম্মেলনকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের কর্মমূখী নীতি আর ফলাফলভিত্তিক কর্মসূচির কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top