সকল মেনু

উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ সেই মালয়েশীয় বিমানের

উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ সেই মালয়েশীয় বিমানের

আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত তানজানিয়া উপকূলের পেম্বা দ্বীপে গত জুন মাসে বিমানের ডানার একটি বড় টুকরো উদ্ধার হয়েছিল। ওই ডানার টুকরোটি দুই বছর আগে নিখোঁজ হওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ বিমানের বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

আজ মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী লিয়াও তিয়ং লাই এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি জানান, বিমানের ওই টুকরোটি উদ্ধার হওয়ার পর পরীক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। সে দেশের তদন্তকারীরা জানান, মূল নির্মাতা সংস্থার জন্য বিমানের বহু যন্ত্রাংশ তৈরি করে থাকে বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা। তবে এমন প্রায় সমস্ত যন্ত্রাংশেই সহযোগী সংস্থার একটি অভিন্ন ‘পার্ট নম্বর’ ছাপা থাকে। আর থাকে একটি অভিন্ন সিরিয়াল নম্বর এবং তারিখ। এসবের সূত্র ধরে হদিস পাওয়া সম্ভব, কোন সংস্থার ঠিক কোন বিমানটির জন্য ওই যন্ত্রাংশ তৈরি হয়েছিল। তানজানিয়া উপকূলের ওই দ্বীপে উদ্ধার হয়েছে বোয়িং বিমানের ডানার একটি ‘আউটবোর্ড ফ্ল্যাপ’-এর অংশ। সেটি বোয়িংয়ের জন্য তৈরি করে একটি সহযোগী সংস্থা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই আউটবোর্ড ফ্ল্যাপের নম্বরগুলো মিলে যাচ্ছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭৭৭-এর সঙ্গে। সেটিই এমএইচ-৩৭০।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এমএইচ-৩৭০। উপগ্রহ চিত্র ও বিমানের সঙ্কেত বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিমানের সর্বশেষ অবস্থান ছিল দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে। বেশ কয়েকটি দেশ যৌথভাবে বিমানটির সন্ধানে নামে। অস্ট্রেলিয়া এই তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু বিমানটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এরপর গত দু’বছরে নানা জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছড়িয়েছে জল্পনা। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপ থেকে মেলে বিমানের ডানার একটি অংশ। সে বার মালয়েশিয়ার খোদ প্রধানমন্ত্রী নজীব রাজাক জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই ভগ্নাংশ এমএইচ-৩৭০ এরই। যদিও যাত্রীদের একাংশ তা মানতে চাননি। এরপর গত ডিসেম্বরে মোজাম্বিক উপকূলে বিমানের একটি অংশ খুঁজে পেয়েছিলেন এক পর্যটক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেই মোজাম্বিক উপকূলেই অন্য একটি অংশ আবিষ্কার করেন এক মার্কিন আইনজীবী। তবে সেগুলো এমএইচ-৩৭০-র কি না, নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা।

কীভাবে মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বিমানটি, সে রহস্যের অবশ্য সমাধান আজও হয়নি। পেম্বা দ্বীপ থেকে পাওয়া এক টুকরো ডানা সেই অন্ধকারে কোনো আলোকপাত করে কি না, সেটাই এখন দেখার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top