সকল মেনু

রায়ের খসড়া ফাঁসঃ সাকার স্ত্রী-ছেলে খালাস, পাঁচজনের দন্ড

indexকোর্ট রিপোর্টার,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় তাঁর আইনজীবীসহ পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা হয়েছে। অন্য দুই আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে খালাস পেয়েছেন। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম এই রায় ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে  ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলায় সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনের জেল-জরিমানা হয়েছে। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে খালাস পেয়েছেন।
দন্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের ১০ বছর কারাদন্ড হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ড পাওয়া বাকি চার আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই চারজন হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী, সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান ও আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান। তাঁদের মধ্যে মেহেদী হাসান পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কারাগারে। খালাস পেয়েছেন সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
মামলার নথি সুত্রে জানাগেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ের আগেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। পরে রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদেরও দেখান। রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় মামলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করেন। গত বছরের ২৮ অগাস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top