মুস্তাফিজকে কাছে পেয়ে বাবা আবুল কাশেম গাজী, মা মাহমুদা খাতুন, ভাইবোন, বন্ধু ও ভক্তরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। মা ব্যস্ত ছিলেন ছেলের পছন্দের খাবার তৈরিতে।
মুস্তাফিজের সেজ ভাই মোখলেছুর রহমান পল্টু জানান, ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়িতে এসে পৌঁছান মুস্তাফিজ। কোরবানির জন্য দুই লাখ টাকা দিয়ে গরু কেনেন। আজ সেই গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঈদগাহ সম্প্রসারণের জন্য এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে মুস্তাফিজ। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুস্তাফিজ বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
বাবা আবুল কাশেম ও মা মাহমুদা খাতুন বলেন, ছেলে ছাড়া ঈদ উদ্যাপন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। গত তিন ঈদে তাঁরা ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। এবার চার ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতিদের নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পরে তিনি খুবই খুশি। বাড়ির সবাই ব্যস্ত মুস্তাফিজকে ঘিরে ঈদ আয়োজন নিয়ে।
পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করছেন মুস্তাফিজের বন্ধুরাও। বন্ধু মেহেদি হাসান ও মাহদুল ইসলাম বলেন, মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা ঈদের নামাজ আদায় করছেন। বন্ধু অনেক বড় হয়েছে। খেলার মধ্য দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। মুস্তাফিজ যেন আরও বড় হয়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে, এটাই তাঁদের কামনা।
পরিবার, স্বজন, এলাকাবাসী ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত মুস্তাফিজও। বললেন, ‘পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ঈদের সময়টা উপভোগ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। সব ভক্ত, সতীর্থ ক্রিকেটার, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ও দেশবাসীকে জানাই ঈদ মোবারক। আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের জন্যও আমার দোয়া রইল।’
এদিকে, জাতীয় দলে খেলা সাতক্ষীরার আরেক পেসার রবিউল ইসলাম শিপলু ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সাতক্ষীরা মুনজিতপুরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ঈদ উদ্যাপন করতে গত শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরায় নিজের বাড়িতে এসেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।