সকল মেনু

ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তাই রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক ছিল ফাঁকা। ছবিটি ফার্মগেট সংলগ্ন কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাহিদুল করিমটানা ছয় দিনের ঈদের ছুটি আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে কোরবানির ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ঘরে ফেরা চলছে আজও। চলবে আরও কয়েক দিন।

আজ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন। সরকারি চাকুরেদের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। অবশ্য কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক দিন আগেই ছুটি দিয়েছে।

সাধারণত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় সড়কে মানুষের চলাচল কম থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। প্রধান সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে রাজধানীতে ঢোকার ও বের হওয়ার পথগুলোতে। এখানে মানুষের ভিড়। ঘরে ফেরা মানুষেরা ভিড় করেছেন গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, সদরঘাট, কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে। ভোর থেকেই এসব জায়গায় মানুষের ভিড় শুরু হয়।

ট্রেন ও লঞ্চ প্রায় সময়মতো ছেড়েছে। তবে সড়কে যানজটের কারণে দূরপাল্লার বাস সময়মতো আসেনি। এর ফলে বাসটার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ঘণ্টা পরে বাসে উঠতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে। কমলাপুর স্টেশনে রাজশাহীগামী দুটি ট্রেন রাজশাহী এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটি সময়মতো না ছাড়ায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আশরাফুল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকার সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। ঘরমুখী মানুষদের ভিড় বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে। তাই মূল সড়কে এখন আর চাপ নেই।

সব সময় ঢাকাতেই ঈদ করেন জামিল। তিনি বলেন, ঈদের আগে সাধারণত শপিংমল এলাকাগুলোতে ভিড় থাকে। আজও বড় শপিংমল আছে এমন এলাকাগুলোতে বিকেলের দিকে ভিড় থাকবে। তবে সার্বিকভাবে ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা। জামিল বলেন, কোরবানি ঈদের সময় রোজার ঈদের চেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ে। এ সময় ঢাকা বেশি ফাঁকা মনে হয়।

শহর ছাড়ছে ঢাকাবাসী। ঈদ উদ্‌যাপন করতে ঘরমুখো মানুষেরা ভিড় করেছে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে। ছবিটি আজ শুক্রবার বেলা বারোটার দিকে তোলা। ছবি: জাহিদুল করিমসকালে আমিনবাজার থেকে ধানমন্ডি এসেছেন রাহিদুল। তিনি বলেন, গাবতলী এলাকায় ভিড় ছিল। তবে বাকি পথের কোথাও গাড়ির চাপ ছিল না। সড়ক অনেকটাই ফাঁকা ছিল।

মিরপুর সড়ক, রামপুরা, গুলশান, ফার্মগেটে মানুষের তেমন ভিড় ছিল না। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম। কিছু বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top