সকল মেনু

তসলিমার বাবাকে লাঞ্ছিত করা শিক্ষক বরখাস্ত, মামলা

 
তসলিমার বাবাকে লাঞ্ছিত করা শিক্ষক বরখাস্ত, মামলা
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় তসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে কলসিন্দুর স্কুলের শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলসিন্দুর স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কলসিন্দুর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক রতন মিয়াকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলসিন্দুর স্কুল ও কলেজে ব্যবস্থাপনা কমিটি।
জানা গেছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়দের খেলতে বলেন কলসিন্দুর স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার। ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা থাকায় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন অনুমতি না দেয়ায় খেলোয়াড় ও অভিভাবকরা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলতে অসম্মতি জানান। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর জবেদ আলী তালুকদার খেলোয়াড় ও অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখান। এমনকি তিনি শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে বের করে দেয়ারও হুমকি দেন।
বুধবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে কলসিন্দুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মফিজ উদ্দিনকে এসব বিষয় জানান তাসলিমার বাবা মো. সবুজ মিয়া। এ খবর শুনে সবুজ মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন জবেদ আলী তালুকদার।
এ ঘটনায় লাঞ্চিত সবুজ মিয়া বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার।
ধোবাউরা থানার ওসি শওকত আলম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসলিমার পিতা মো. সবুজ মিয়া কলসিন্দুর স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদারকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ দিকে ঢাকা থেকে ফেরার পথে লোকাল বাস (নিলয় পরিবহনে) আসার সময় অনূর্ধ্ব ১৬ দলের খেলোয়াড়দের জনরোষের শিকার হতে হয়েছে। এ নিয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ দলের খেলোয়াদদের, সচেতন মহলে ও অভিভাবকদের মধ্যে নানা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনূর্ধ্ব ১৬ দলের খেলোয়াড়দের অভিভাবকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করে বিচার দাবি করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top