সকল মেনু

ছাতক প্রেসক্লাব সভাপতির রাগীব আলীর বিরুদ্ধে মামলা

unnamedচান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সিলেটের শিল্পপতি ও তথাকথিত দানবীর রাগীব আলীও তার পুত্র আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন ছাতক প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক থাকা অবস্থায় নিজেদের মালিকানাধীন পত্রিকা ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ এর প্রিন্টার্স লাইনে প্রকাশক, মুদ্রক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে রাগীব আলী এবং সম্পাদক হিসেবে আব্দুল হাইয়ের নাম ব্যবহার করায় বৃহস্পতি এ মামলা দায়ের করা হয়। সুনামগঞ্জের ছাতক প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতে তিনি রাগীব আলীর ৫৮বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদন্ডের আবেদন করেছেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি (নং-১০১০) আমলে নিয়ে দন্ডবিধি ৪১৭ ধারায় বিবাদিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ প্রদান করেন। আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেন এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট আবুল হাসান, এডভোকেট সফিকুল ইসলাম, এডভোকেট সজল কুমার রায়, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট সৈয়দ মুজিবুল হক, এডভোকেট শহীদুল হক শাহীন ও এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
এডভোকেট শহীদুজ্জামান জানান, আদালতে নালিশকারী হিসেবে গিয়াস উদ্দিন তালুকদার আবেদনে উল্লেখ করেছেন- দৈনিক সিলেটের ডাক বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা। পত্রিকার প্রকাশক, মুদ্রক ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি হিসেবে রাগীব আলী এবং সম্পাদক হিসেবে আব্দুল হাই বহুল পরিচিত। এ দু’জনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী থানায় জিআর ৭৪/২০০৫ এবং জিআর ১১৪৬/২০০৫ নং মামলায় গত ১০আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। কোনো পলাতক আসামী আইনের সুবিধাভোগী হতে পারে না। সংবাদপত্র হচ্ছে একটি আইনী প্রকাশনা। সিলেটের ডাক এর সম্পাদক, প্রকাশক, মুদ্রক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে স্বীয় নাম ব্যবহার করে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারেন না। আইন লঙ্ঘন করে নাম ব্যবহার করে পাঠকদের সাথে ফাঁকিবাজি ও প্রতারণা করা হচ্ছে। গত ১১ আগস্ট থেকে ৮সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাগীব আলী ও তার পুত্র আব্দুল হাই তাদের নাম যুক্ত করে দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশক্রমে অব্যাহত প্রতারণার অপরাধ করে চলেছেন। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার জন্য আব্দুল হাই ২৯টি সংখ্যা প্রকাশ করে ২৯টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অন্যদিকে রাগীব আলী প্রকাশক ও মুদ্রক হিসেবে দ্বৈত স্বত্তায় প্রতিদিন ২টি করে অপরাধের দায় বহন করায় অপরাধের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮টিতে। তবে সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি পদ অলংকরণে কোনো অপরাধ বর্তায় না।
নালিশকারী হিসেবে গিয়াস উদ্দিন তালুকদার অভিযুক্ত আসামীদের প্রতিদিনের অপরাধের জন্য রাগীব আলীর ৫৮বছর ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ২৯বছর কারাদন্ডের আবেদন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top