সকল মেনু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার তীব্র যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর, মদনপুর ও মেঘনা সেতু এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

যানজটের কবলে পড়ে ঈদে ঘরমুখী হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে আটকা পড়েছে গরু বোঝাই শত শত ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করার কারণে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আট লেনে চলাচলরত যানবাহন ৪ লেনে কাঁচপুর ব্রিজে পৌঁছে এবং কাঁচপুর থেকে ৪ লেনে চলাচলরত যানবাহন সোনারগাঁয়ের মেঘনা সেতুর উপর ২ লেনে পৌঁছে যানজটে আটকা পড়ছে।

আর এ যানজট ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময়েরও বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েও ঈদে ঘরমুখী পরিবহন যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।

অনেক পরিবহন যাত্রীদের যানজটের কারণে পায়ে হেঁটে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে।

ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অভিযোগ, পথে পথে চাঁদাবাজী, হাইওয়ে পুলিশের উদাসীনতা, দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন তাৎক্ষণিক সরাতে পুলিশের গাফিলতি, রেকার বিকল, কয়েকটি পয়েন্টে রোড ডিভাইডার ভেঙে গাড়ি ঘুরানোর কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

গজারিয়া পরিবহনের বাস মালিক নান্নু মিয়া জানান, হাইওয়ে থানা পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারনেই প্রায় সময়ই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে কাঁচপুর বাসষ্ট্যান্ড, মদনপুর ও মেঘনা সেতু এলাকায় সারা বছর যানজট লেগেই থাকে।

ঈদকে সামনে রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে যানজট নতুন মাত্রা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ শরীফুল আলম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় বৃহস্পতিবার মেঘনা সেতু ও কাঁচপুরসহ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top