সকল মেনু

পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী

 
পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় আসন্ন সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮ থেকে ১১ নভেম্বর ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে পাকিস্তান।
উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, পাকিস্তানের এবারের সার্ক সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সবুজ সংকেত দেয়া হয়। এরপর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করে। নিয়মানুযায়ী সার্কের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মতির ভিত্তিতেই সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের দিন তারিখ নির্ধারিত হয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া ও কয়েকজন অপরাধীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হবার পর পাকিস্তানের অযাচিত প্রতিক্রিয়া আর হস্তক্ষেপের জন্যই প্রধানমন্ত্রী সার্ক সম্মেলনে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার হস্তক্ষেপ করছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ জানানোর পরও পাকিস্তান অবস্থান বদলায়নি। এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো দৃশ্যত অগ্রগতি হয়নি।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক শীতল পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ে কোনো সফর বিনিময় হয়নি। সম্প্রতি ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ যাননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে হাইকমিশনার ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সর্বশেষ দীর্ঘ ছয় বছর পর কয়েকবার পিছিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকের দিন নির্ধারিত হয়। ২৪ ঘন্টা আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তার ঢাকা সফর বাতিল করেন।
এছাড়া সর্বশেষ মীর কাসেম আলী, এর আগে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লার মত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হবার পর প্রতিক্রিয়া দেখায় পাকিস্তান। এ নিয়ে ঢাকা ও ইসলামাবাদে দফায় দফায় তলব ও পাল্টা তলব চলে। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক কর্মকর্তা নানা অপরাধে জড়িয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়েন। সরকার আইনি ও কূটনীতিক পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদে একাধিক বাংলাদেশি কূটনীতিককে নিরাপত্তা হুমকিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বরাবরই বৈরি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ করে আসছে।
এমন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত সহসাই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। সার্ক সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন বলে উচ্চ পর্যায়ের সূত্রটি জানায়। তবে সার্ক সম্মেলনের এখনো দুই মাস সময় আছে। এর আগেই সিদ্ধান্ত হবে বলে সূত্রটি জানায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top