সকল মেনু

বুধবার ১০টাকায় চাল বিতরণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ- এ স্লোগানে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে পল্লী রেশনিং কার্যক্রম। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১০টাকা কেজি দরে এ চাল বিতরণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। পল্লী রেশনিং কার্ডধারীদের বছরে ৫ মাস দেওয়া হবে এ খাদ্য সহায়তা।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মামুন অর রশীদ স্বদেশজমিনকে বলেন, বুধবার সকালে চিলমারীর থানাহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কুড়িগ্রাম সফরে প্রধানমন্ত্রী চাল বিরতণ কর্মসূচির উদ্বোধন ছাড়াও একটি সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান উপ-প্রেস সচিব।

এর আগে রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং পরবর্তীতে মার্চ ও এপ্রিল মাসে এ চাল দেওয়া হবে। যে পাঁচ মাস মানুষের কষ্ট হয়, চালের দাম একটু বাড়তির দিকে থাকে, গরিব মানুষের একটু কষ্ট হয়, সেই পাঁচ মাস ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ১০টাকায় সুষ্ঠু চাল বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী নির্ধারণ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রী জানান,  নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও’র নেতৃত্বাধীন কমিটি কাজ করবে। এ কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও থাকবেন।

প্রতি ৫০০ পরিবারের কাছে চাল বিতরণের জন্য একজন ডিলার হবেন। নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি কার্ড বণ্টন করবে এবং ডিলার নিয়োগ করবে। অসহায়, দরিদ্র পরিবারগুলোকে কার্ড দেওয়া হবে। নারী প্রধান পরিবার, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

১০টাকায় চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে বুধবার কুড়িগ্রাম যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে এরই মধ্যে নিরাপত্তা চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারীকে। গোয়েন্দা সংস্থ্যাসহ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।

কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনসহ নতুন সাজে সেজেছে এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ চিলমারীসহ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।

আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিদিন মিছিল-মিটিং, মাইকিং এর মাধ্যমে জনসংযোগ চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top