সকল মেনু

সশস্ত্র ইউনিট গড়তে চায় দুদক

download (1)

অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করতে ও আসামিদের নিরাপত্তায় নিজস্ব জনবল দিয়ে একটি সশস্ত্র ইউনিট গড়বে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিজেদের প্রতিষ্ঠানে পুলিশের যেসব সদস্য রয়েছেন, তাঁরাসহ নতুন জনবল নিয়োগ দিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হবে। দুদকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাঁদের প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। দুদক আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে প্রশিক্ষিত ওই কর্মীরা অনুমোদিত অস্ত্র বহন করবেন। আসামিদের রাখার জন্য একটি নিজস্ব হাজতখানা এবং অপরাধীদের মুঠোফোন ট্র্যাকিং করতে একটি মেশিনও চাওয়া হবে।

এসব বিষয়ে দুদকের কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, বিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। বিশেষ করে দুদকে কোনো বাহিনী তৈরি করা না হলে অনুসন্ধানকাজে গতি আসবে না বলে একজন কর্মকর্তা সরকারকে জানিয়েছেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারে একটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। অবশ্যই তাদের অস্ত্র থাকতে হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় এসব জরুরি। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানোর আগ পর্যন্ত তাঁরা কর্মকর্তার কক্ষে বসেন, যা নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিষয়ে পরোক্ষভাবে তথ্য চাই। এ জন্য পুলিশ চাওয়া দরকার হবে না। প্রথম দফায় আমরা আমাদের কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শুরু করব। এ কাজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা লাগবে।’
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব ড. মোজাম্মেল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, এসব বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। আইনে কী বলা আছে হাজতখানার বিষয়ে, তা দেখতে হবে। অন্ত্রের অনুমোদন, বহন করার বিষয়েও আলোচনা করতে হবে।
দুদকের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা তাঁরা আগে থেকেই বলে আসছেন। আসামি গ্রেপ্তার করতে দিনে বা রাতে সব সময় অভিযান চালাতে হয়। রাতে আসামি গ্রেপ্তার করা হলে থানায় পাঠিয়ে দিতে হয়। পরদিন আবার ডেকে আনা হয়। অন্যদিকে রিমান্ড থেকে আসামিকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের নিজস্ব হাজতখানা না থাকায় ওই আসামিদের কর্মকর্তাদের কক্ষে বসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়। এসবে সময় অপচয় হয়, নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশও সব সময় সহায়তা করতে চান না। অনেক সময় জরুরি হলেও তাদের পাওয়া যায় না। ফলে অভিযান ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে অপরাধী কোথায় আছে—এ বিষয়টি শনাক্ত করা দুদকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। দুদক সাধারণত পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তা নেয়। অনেক সময় তাদের সাহায্য পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হাতছাড়া হয়ে যায়। এ বিষয়ে বিটিআরসি সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি দুদকের কর্মকর্তা পর্যায়ে অস্ত্র দেওয়ার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুদক কর্মকর্তাদের অস্ত্র চালানোর জন্য বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ ছাড়া রয়েছে অস্ত্র ও গুলি সংরক্ষণের প্রশ্ন। এসব বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কমিশন।
বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই দুদককে অধিক গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন: কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, প্রেষণে অধিক দক্ষ কর্মকর্তাদের দুদকে নিয়োগ প্রদান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top