সকল মেনু

মীর কাশেমের ফাঁসি হওয়ায় সারাদেশে আনন্দ মিছিল

image-35148-1472915077স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডার মীর কাশেম আলীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চালা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় জানাজা শেষে মীর কাশেম আলীকে দাফন করা হয়। এদিকে ছাত্রলীগের বাধার মুখে চট্টগ্রামের প্যারেড মাঠে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। দণ্ড কার্যকর করায় চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গণজাগরণ মঞ্চ পাড়ায় পাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে। সিলেট, ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, পটিয়া ও খুলনা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৫টি মাইক্রোবাস বহর নিয়ে মীর কাশেমের স্ত্রী, ভাই, জামাতা হরিরামপুরের চালা গ্রামে যাওয়ার পথে কলতা বাজারে পৌঁছে। সেখান থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ৪টি মাইক্রোবাসে ৪০ জনকে চালাগ্রামে যাওয়ার অনুমাতি দেয় পুলিশ। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ১৪টি যানবাহনে নিরাপত্তা বাহিনী মীর কাশেমের লাশ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চালা গ্রামে পৌঁছে দেয়। মীর কাশেমের ভাইয়ের মেয়ের জামাতা আবুল হাসান তার জানাজা পড়ান। জানাজা শেষে মীর কাশেমের কেনা চালা গ্রামে ৫০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মসজিদের উত্তর পাশে তাকে দাফন করা হয়। পুলিশ জানায়, কররস্থানে সাময়িকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। সময়মত পুলিশ সরিয়ে নেয়া হবে।

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডার মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গণজাগরণ মঞ্চ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নগরবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। শনিবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মহামায়া ডালিম হোটেলের সামনে জড়ো হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন। আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয় রবিবারেও। ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহীদদের স্বজনরা। এদিকে বাধার মুখে নগরীর প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি এই যুদ্ধাপরাধীর গায়েবানা জানাজা।

রবিবার সকালে নগরীর চেরাগী মোড়ে আনন্দ মিছিল বের করেন গণজাগরণ মঞ্চ। একই দিন বেলা ১১টায় নগরীর ফজল মার্কেট চত্বরে মিছিল বের করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডাররা। উভয় সংগঠন মিছিল শেষে পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন। মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের পক্ষ থেকে ও বের করা হয় আনন্দ মিছিল। মিষ্টি বিতরণ করা হয় বিভিন্ন এলাকায়।

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে রবিবার বিকেলে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সংসদ কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, জেলা সহকারী কমান্ডার আতিক আহম্মেদ চৌধুরীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সিলেট জেলা শাখার সহসভাপতি আব্দুল কাদির, ইকবাল বাহার, সারওয়ার আহম্মেদ, জবরুল হোসেন প্রমুখ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর ॥ মীর কাশেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার ১২টার দিকে শহরের থানা রোডের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ায় সারাদেশের মানুষের মতো তিনিও আনন্দিত।

নিজস্ব সংবাদাতা, পটিয়া ॥ মীর কাশেম আলীর দণ্ড কার্যকর হওয়ায় চট্টগ্রামের পটিয়াতেও আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে পটিয়া হাসপাতাল গেট এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা প্রজ্ঞা জ্যোতি বড়ুয়ার নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয়। লক্ষ্মীপর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরে আনন্দ মিছিল করেছে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ। পরে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে সমাবেশে মিলিত হয় তারা। ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফসান জানি বাপ্পির নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয়।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top