সকল মেনু

বদর নেতা কাসেমের ফাঁসি রাত সাড়ে ১০টায়!

image-35148-1472915077

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি আজ রাতেই কার্যকর হচ্ছে। আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এই আলবদর নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারাগারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় কারা অধিদফতরের দায়িত্বশীল ওই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে যেকোন সময় জামায়াতের এই বদর নেতার ফাঁসি কার্যকর হবে। এদিকে কাশিমপুর কারা কর্মকর্তারা মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যদের শেষবারের মতো দেখা করতে খবর পাঠালে ফাঁসি আজই হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে যায়। আজ বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাতের জন্য কারাগারে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তারা সোয়া ৪টায় দেখা করার সুযোগ পান। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। মীর কাসেমের স্ত্রী আয়েশা খাতুন বলেন, পরিবার ও নিকট আত্মীয়সহ ২২ জন দেখা করতে যান। ছোট ছোট দলে ধাপে ধাপে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। সব শেষে দেখা করেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলের বউসহ আটজন। পরিবারের সদস‌্যরা দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। এর আগে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ বলেন, জামায়াতের শীর্ষ এ নেতার ফাঁসি কার্যকর করতে দুপুরে সরকারের নির্বাহী আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌছিয়েছে। এখন ফাঁসি কার্যকরে কোন বাঁধা নেই। সূত্রমতে, ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফাঁসির মঞ্চে তৃতীয় দফা ও শেষবারের মতো মহড়া সম্পন্ন হয়। ফাঁসি কার্যকর কে করবেন এটা ফাঁসির আগ মুহূর্তেই ঠিক করা হবে। তবে এদের মধ্যে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। মহড়ায় চার জল্লাদ অংশ নেন। এদিকে ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। ঢাকায় ও গাজীপুরে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। কারাগার ও সংলগ্ন এলাকাগুলো মোট ছয় গাড়ি র‍্যাব সদস্য, শতাধিক কারারক্ষী, পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছেন। ‍যুদ্ধাপরাধীদের মধ‌্যে এই প্রথম কারও সাজা কার্যকর হচ্ছে কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এর আগের পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছিল ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে, যা সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top