সকল মেনু

রেলের ইতিহাসে ২ আগস্ট স্মরণীয় দিন

unnamedএস এন ইউসুফ,ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে ২০১৬ সালের ২ আগস্ট শুক্রবার এই দিনে বাংলাদেশ রেলওয়েতে নতুন করে আরো যোগ হলো অর্ধশতাধিক বগি দিয়ে নতুন ৪টি ট্রেন। ২ সেপ্টেম্বর ভোর থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাজ সাজরব। বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ আরএনবি, জিআরপি, র‌্যাব ও বিজিবি বাহিনীর সহ সু-শৃঙ্খল মহড়া এবং পাহাড়ার মধ্যে সেজেছে ঢাকা-সিলেট রুটের পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-দিনাজপুর রুটের একতা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-দিনাজপুর রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস। হলুদ গেন্দাপুল এবং গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে লাল সবুজ বাগি গুলো। এ যেন ঈদের পূর্বে আরেক ঈদ রেলের যাত্রীদের জন্য। ভোর ৬ টায় যাত্রীদের কল্যানে সকল তন্দ্র বিসর্জন দিয়ে ট্রেন উদ্ভোধনে কমলাপুর ছুটে যান রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি। এক এক করে তিনটি ট্রেন উদ্ভোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন- স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়েকে বার বার ধ্বংস করেদিয়েছিলো স্বাধীনতা বিরোধী দেশদ্রোহী চক্র বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ১৩৫ টি স্টেশন বন্ধ করে অসংখ্য কোচ বিক্রি করে রেলকে লোকসান ধর্মী পরিবহন বলে রেলের উন্নয়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়ে রেলকে একটি গলমুখী পরিবহনে পরিণত করেছেন। এখন ট্রেন একটি জনবান্ধব পরিবহন ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মির্জা আজম এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ মোঃ সালাহ উদ্দীন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন।
ভোর ৬ টা ৩০ মিনিটে নতুন লাল সবুজ কোচ নিয়ে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় ঢাকা-সিলেট রুটের ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের হাসিমাখা মুখ নিয়ে ট্রেনটি ছুটে চললো ৩১৯ কিলোমিটার দূরত্বের সিলেটের পথে। দীর্ঘদিন পর এ রুটে কোচ দেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যাত্রীরা।  কমলাপুর রেলস্টেশনের দ্বিতীয় প্লাটফর্ম থেকে ইন্দোনেশিয়ান ১৬টি  এয়ারব্রেক কোচসহ এটাই ট্রেনটির প্রথম যাত্রা। ১৯৮৬ সালে প্রথম ট্রেনটি চালু হয়। এরপর ১৯৯৫-৯৬ সালে ইরানী কোচ দেয়া হয় পারাবতে।

unnamed  ২০১১ সালের নভেম্বরে  ইরানী রেক খুলে নিয়ে ভ্যাকুয়াম কোচ লাগিয়ে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত  কোচসংকট ও ড্যামেজ কোচের কারণে পারাবত এক্সপ্রেসের চলাচল ব্যাহত হচ্ছিলো। কোচ সংকটের কারণে অনেকগুলো স্টেশনে টিকিট সংকট ছিলো চরমে। এখন নতুন কোচ দেয়ায় ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ এর স্টেশনগুলোতে টিকিট সংকট কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৬টি  কোচ নিয়ে  ছুটে চলা পারাবতে এখন থেকে থাকছে ২ টি এসি স্লিপার কোচ, ২ টি এসি চেয়ার, ১টি প্রথম শ্রেণি, ৮টি শোভন চেয়ার ও ২ টি ডায়নিং কার। ২ টি এসি স্লিপার কোচে আসন রয়েছে ৬৬টি, এসি চেয়ার ২ টি কোচে আসন ১১০টি, প্রথম শ্রেণির ১ টি কোচে আসন ৩৩টি, শোভন চেয়ার ৮টি কোচে আসন সংখ্যা ৪৮০টি, ২ টি ডায়নিং কারে আসন সংখ্যা ৩০ টি। সব মিলিয়ে পারাবত এক্সপ্রেসের এখন আসন সংখ্যা এখন ৭১৯টি।সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস রুটে ছেড়ে যায় তিস্তা এক্সপ্রেস। সকাল ১০ টায় ঢাকা-দিনাজপুর রুটের একতা এক্সপ্রেস। রাত ৮ টায় ছেড়ে যাবে ঢাকা-দিনাজপুর রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top